
স্পোর্টস ডেস্ক :২০১৭ সালে কলকাতা লিগের পর কোনো ট্রফি জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। অন্যদিকে তার চিরপ্রতিপক্ষ মোহনবাগানে আই লিগ থেকে আইএসএল শুধুই সাফল্যই সাফল্য গত কয়েক বছরে। তার মধ্যে আছে গত ৮ টি ডার্বিতে জয়। এবারে আগামী ১২ অগাস্ট ডুরান্ড ডার্বি। ৯ টি ডার্বিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে মোহনবাগান। এই অবস্থায় এদিন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যিনি ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হিসেবে পরিচিত তিনি এদিন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৪ তম জন্মদিনে এসে জানালেন,একদিন না একদিন আজ না হয় কাল ট্রফির খরা কাটবে। আমরা ট্রফি জিতব। আর তারপর বলব তোমরা পাশের ক্লাব হলে কী হবে আমরাও আছি।সেই ৭ টা বছর আমরা ভুলে যাইনি। আবার এমন আসবে যখন ১০ বছর পরপর আমরাও দেব। আমরা আশায় বুক বাঁধবো আর এগিয়ে যাব।’ ফিরহাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও বললেন,ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বিখ্যাত তার জেদ হার না মানা মনোভাব আর এগিয়ে যাওয়া। হয়ত ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বিখ্যাত পারছে না। পাশের ক্লাব বারবার বলছে নয়ে নয়। কিন্তু পৃথিবীটা গোল অন্ধকারের পরেও আলো ওঠে। আমার তীব্র ধারণা আর নয়ে নয় হবে না এবারে অন্য কিছু রেজাল্ট হবে।’ এখন দেখার ইস্টবেঙ্গল জয়ের ডার্বি জয় আর ট্রফির রাস্তায় ফিরতে পারে কিনা!এদিনের ইস্টবেঙ্গলের ১০৪ তম জন্মদিনে বিকেল থেকেই প্রবল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হলেন এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার থেকে ক্রীড়া প্রশাসক, মন্ত্রীরা। কে আসেননি? মন্ত্রীদের মধ্যে হাজির ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস,পার্থ ভৌমিক,চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাপস রায়।এসেছিলেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে,সচিব সাজি প্রভাকরণ সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। ছিলেন আইএফএ সচিব ও সভাপতি অনির্বান দত্ত,অজিত ব্যানার্জি। মোহনবাগান ও মহমেডান থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন স্বপন ব্যানার্জি,কামারউদ্দিন এবং ইসতিয়াক আহমেদ। ছিলেন আইপিএল কাউন্সিল কমিটির সদস্য অভিষেক ডালমিয়া, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। আর ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান দুটি দলের ফুটবলার সহ কোচেরা।