
স্পোর্টস ডেস্ক: ডার্বির যে জেতে পরের ম্যাচে তাঁদের কাছে লড়াইটা খুবই কঠিন হয়। ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে সিনিয়র দল আর কলকাতা লিগে জুনিয়র দল খেললেও নামটা তো ইস্টবেঙ্গল। চাপ তো থাকেই। আর সেই চাপের মুহূর্তেও কলকাতা লিগে নিজেদের ঘরের মাঠে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ২-১ গোলে হারালো শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবের।
এদিন ম্যাচের শুরুতে ৬ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে ফ্রি-কিক নেয় ইস্টবেঙ্গল। তবে লাভ হল না। কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে তন্ময়ের হেডার। তবে বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন পুলিশ গোলকিপার। ম্যাচের ১০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল বক্সের বাইরে থেকে শট অয়ন মিস্ত্রির। ইনসাইড-আউট করে গোল লক্ষ্য করে শট। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট। গোলের ধারেকাছেও থাকল না। গোলকিক ইস্টবেঙ্গলের। তবে ১৫ মিনিটে বাজিমাত ইস্টবেঙ্গলের। মাঝমাঠে থেকে ছোট-ছোট পাস খেলে উঠে বক্সের মাথায় একেবারে ঠিকানা লেখা পাস বাড়ান জেসিন টিকে। একটা দারুণ পাস পেয়ে গোল করতে কোনও ভুল করেননি অভিষেক কুঞ্জম। গোলকিপারের বাঁ-দিক থেকে বলটা জালে জড়িয়ে দেন। গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসের মগডালে উঠে যায় লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে পুলিশের বক্সের পাস ইস্টবেঙ্গলের। ইস্টবেঙ্গলের কোনও খেলোয়াড় বলের কাছে পৌঁছানোর আগেই বলটা ধরে নিলেন পুলিশের গোলকিপার।৪০ মিনিটে আবার বাঁ-প্রান্ত থেকে ভালো আক্রমণ পুলিশের। বক্সের ঠিক মাথায় পায়ের স্কিল দেখালেন শরিফুল। তারপর শট মারার চেষ্টা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল শোধ করে পুলিশ। দারুণ মুভমেন্ট ছিল পুলিশের। বাঁ-দিকে বক্সের মধ্যে ভালো পায়ের কাজ আশিকের। গোলের সামনে দুর্দান্ত পাস। ছোট্ট টোকায় গোল জগমিতের। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে গোল করল পুলিশ। যদিও ইস্টবেঙ্গল গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৬০ মিনিটে শর্ট বলে বক্সের মধ্যে ঢুকে আসে ইস্টবেঙ্গল। তবে বল ক্রস করার জায়গা মেলেনি। পুলিশের প্লেয়ারদের পায়ের জঙ্গলে বল ক্লিয়ার হয়ে যায়। তারপর ফের আক্রমণে আসে ইস্টবেঙ্গল। তারপর কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল হয়নি।৬১ মিনিটে আবার একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ। নামালেন পিভি বিষ্ণু, সঞ্জীব ঘোষ এবং মহীতোষকে। তুলে নিলেন অভিষেক, আমন এবং গুরনাজকে।৬৬ মিনিটে পুলিশের বক্সের ঠিক মাথা থেকে বিষ্ণুর শট। বারপোস্টের একটু উপর দিয়ে বলটা বেরিয়ে যায়। গোল পেল না ইস্টবেঙ্গল। ৭০ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করলেন পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের কোচ প্রশান্ত চক্রবর্তী। অয়ন মিস্ত্রির পরিবর্তে মাঠ নামেন উজ্জ্বল হাওলাদার। অন্যদিকে, পঙ্কজ রায়কে বসিয়ে বিশ্বজিৎ দাশগুপ্তকে নামানো হয়। মাঠে নেমেই জাদু দেখালেন বিশ্বজিৎ।৭১ মিনিটে মাঠে নেমেই জাদু দেখালেন উজ্জ্বল হাওলাদার এবং বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে উজ্জ্বলের পাস। বিশ্বজিৎ বক্সের মধ্যে ধরলেন। দু’জন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার গায়ে লেগে থাকলেও দুরন্ত পাস। একেবারেই গোলের সামনে পাস। জগমিত ছিলেন। মাথা ঠেকালেই গোল ছিল। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ইস্টবেঙ্গল।৭৮ মিনিটে সুমন দে’কে মাঠে নামালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। তুলে দিলেন দীপ সাহাকে। ৮২ মিনিটে আবার লিজোকে চোট পাওয়া তুহিন দাসের জায়গায় নামানো হয়। যদিও ৮৮ মিনিটে ম্যাচে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। পুলিশের ডিফেন্সকে উড়িয়ে অসাধারণ গোল গোল পিভি বিষ্ণুর । কঠিন ম্যাচ জিতে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লো লাল হলুদ ব্রিগেড।