
স্পোর্টস ডেস্ক :। গত ম্যাচে ইস্টার্ন রেলকে ৫-১ গোলে হারানোর পরে এদিন ঘরের মাঠে উয়াড়িকে ৫-০ গোলে হারালো শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব। প্রথমার্ধে সেভাবে নিজেদের দাপট না দেখাতে পারলেও দ্বিতীয়াধে কিন্তু পুরো অন্য ইস্টবেঙ্গল। বলা ভালো জ্বলল মশাল শেষ সময়েই।ম্যাচের ১২ মিনিটে সেট পিস থেকে দুর্দান্ত শট। কিন্তু বিপক্ষ দলের ফুটবলারের পায়ে লেগে মাঠের বাইরে বল। কর্নার আদায় করে লাল-হলুদ। কিন্তু সেখানে শট পাস। কিন্তু গোল হল না।২০ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় আমানকে ফাউল করে উয়াড়ী। পেনাল্টি বক্সের একেবারে কাছে। পেনাল্টির আবেদন করলে তা দেননি রেফারি। তবে ফ্রি কিক আদায় করলেও সেখান থেকে গোল করতে পারলেন না দীপ।২৫ মিনিটে পরপর দুটি ফ্রি কিক থেকে গোল পেল না ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু পেনাল্টি বক্সে হান্ডবল করায় পেনাল্টি আদায় করে নেয় উয়াড়ী। তবে লাভ হয়নি। লাল হলুদ গোলকিপার সাঙ্গা অসাধারণ সেভ করে পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশুন্য ব্যবধানে। চিন্তা বাড়ছিল ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য টিম বিনো জর্জ ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৫২ মিনিটে সুযোগ তৈরী হয়েছিল। কিন্তু উয়াড়ী ডিফেন্স খুবই দক্ষতার পরিচয় দেয়। তবে ৫৩ মিনিটে দীপ সাহার চোখ ধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।৬০ মিনিটে ফের দীপ সাহা গোল করলে অফ সাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপর ৬৬ মিনিটে উয়াড়ীর বক্সে কোনও ফুটবলার নেই। কিন্তু সেখান থেকেও গোল করতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গলের জেসিন টিকে ।তবে এখানে উয়াড়ীয় গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভ নজর কারে। তবে ৬৯ মিনিটে – পরিবর্ত ফুটবলার হিসাবে নামা লাল হলুদের তন্ময় দাস উয়াড়ীর বক্সে ঢুকে চোখ ধাঁধানো গোল করে যান। এরপরেও একাধিক গোলের সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষে এসে দলের তৃতীয় গোলটি করেন অভিষেক কুঞ্জম। ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ৯৪ মিনিটে ৪-০ গোলে এগিয়ে গেল লাল-হলুদ। গোল করলেন অমন শিকে। এরপর ফের গোল নিজের দ্বিতীয় আর দলের পঞ্চম গোলটি করলেন অভিষেক কুঞ্জম।