
স্পোর্টস ডেস্ক: নেপথ্যে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’ রোয়েলফ ভ্যান ডান মারওয়ে। ব্যাট হাতে ১৯ বলে ২৯ রান করার পর বল হাতে ন’ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তুলে নিলেন দু’উইকেট।
মঙ্গলবার ধরমশালায় বৃষ্টির জেরে ৪৩ ওভারে কমিয়ে আনা হয়েছিল ম্যাচ। ৩৫ ওভার শেষে ১৫৬ রানে সাত উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে ছিল ডাচরা।এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। নেদারল্যান্ডস শুরুটা একেবারেই ভালোভাবে করতে পারেনি। তারা মাত্র ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। দুই ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং এবং ম্যাক্স ও’ডাউড যথাক্রমে ১৬ বলে ২ রান এবং ২৫ বলে ১৮ রান করেন। কলিন অ্যাকারম্যানও বেশি রান পাননি। তিনি ২৫ বলে মাত্র ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। বাস ডি লিড ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ৭ বলে মাত্র ২ রান করে নিজের উইকেট হারান। তেজা নিদামানুরুর ব্যাট থেকে ২৫ বলে ২০ রান আসে।অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ৬৯ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ১টি ছয়। রোওলফ ফান ডার মারউই এবং আরিয়ান দত্ত যথাক্রমে ১৯ বলে ২৯ রান এবং ৯ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন। শেষমেশ ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করে নেদারল্যান্ডস। লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাডা এবং মার্কো জ্যানসেন ২টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন। জেরাল্ড কোয়েটজি এবং কেশব মহারাজ ১টি করে উইকেট পান।
১ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফর্মে থাকা ব্যাটার কুইন্টন ডি কক ২২ বলে ২০ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৩১ বলে মাত্র ১৬ রান করেন। রাসি ফান ডার ডুসেন এবং এডেন মার্করাম ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। ফান ডার ডুসেন এবং মার্করাম যথাক্রমে ৭ বলে ৪ রান এবং ৩ বলে ১ রান করেন। হেনরিখ ক্লাসেন ২৮ বলে ২৮ রান করতে সক্ষম হন।
ডেভিড মিলার ৪টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৫২ বলে ৪৩ রান করেন। মার্কো জ্যানসেন ২৫ বলে মাত্র ৯ রান করে আউট হন। জেরাল্ড কোয়েটজি ২৩ বলে ২২ রান করতে সক্ষম হন। কেশব মহারাজ ৩৭ বলে ৪০ রান করেন। শেষমেশ ৪২.৫ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লোগান ফান বিক ৩টি উইকেট শিকার করেন। পল ফান মিকেরেন, বাস ডি লিড এবং রোওলফ ফান ডার মারউই ২টি করে উইকেট নেন। কলিন অ্যাকারম্যান ১টি উইকেট পান।