
ওঙ্কার ডেস্ক: ২০২০ সালের জেএনইউ সফরে দীপিকাকে নিয়ে ফের বিতর্কের জন্ম দিলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। তাঁর দাবি, তখনকার পরিস্থিতি কিংবা ছাত্র নিগ্রহের প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে নাকি বিশেষ ধারণাই ছিল না দীপিকার। বরং ‘ছপাক’ ছবির প্রচারের কৌশল হিসেবেই সেই সফর ছিল বলে কটাক্ষ করেন পরিচালক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেক বলেন, “আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি দীপিকার কোনও স্পষ্ট ধারণা ছিল না যে জেএনইউতে ঠিক কী হয়েছিল।” সঞ্চালক তাঁকে প্রশ্ন করেন, তবে কি তিনি দীপিকাকে ‘নির্বোধ’ বলতে চাইছেন? বিবেকের স্পষ্ট উত্তর, “না, বিষয়টা তেমন নয়। আমি বরং বলব, ওঁর পিআর টিম হয়তো বুঝিয়েছিল ছবির প্রচারে সামনে আসার সঠিক সময় ওটাই ছিল। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটার সঙ্গে রাজনীতির একটা স্পষ্ট যোগ ছিল, আর দীপিকার ছবিও ছিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত।” তার কিছুক্ষন পরেই পরিচালক বলেন, “আমি দীপিকাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কিন্তু এটুকু জানি, তিনি খুবই বুদ্ধিমতী। যদি পুরো পরিস্থিতির রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতা বুঝতেন, তাহলে হয়তো নিজেই সিদ্ধান্ত বদল করতেন।”
উল্লেখ্য, মেঘনা গুলজার পরিচালিত ‘ছপাক’ ছবির মুক্তির আগেই জেএনইউয়ে নিগৃহীত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল দীপিকাকে। সেই সময় তিনি কোনও মন্তব্য না করলেও, তাঁর উপস্থিতিই যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
দীপিকার সেই পদক্ষেপকে কেউ ব্যাখ্যা করেছিলেন ‘নীরব প্রতিবাদ’ হিসেবে, আবার কেউ কেউ বলেছিলেন, “এটা ছবির প্রোমোশনের অংশবিশেষ।” এখন, পাঁচ বছর পর ফের সেই বিতর্ককেই নতুন করে নাড়িয়ে দিলেন বিবেক। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে দীপিকার ক্যারিয়ারগ্রাফও। ‘ছপাক’-এর পর তাঁকে মূলত সাপোর্টিং চরিত্রেই দেখা গিয়েছে বড় বাজেটের প্রজেক্টে।
এদিকে, নিজের আগামী ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস: রাইট টু লাইফ’ নিয়ে চর্চায় রয়েছেন পরিচালক নিজেও। এই ছবিই তাঁর বিতর্কিত ‘ফাইলস ট্রিলজি’-র তৃতীয় রাজনৈতিক থ্রিলার। ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তির কথা রয়েছে এই সিনেমার। টিজার প্রকাশের পর থেকেই তাতে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে।