
ওঙ্কার ডেস্ক : সাল ১৯৩১, দিন ৬ এপ্রিল, বাঙালির কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ঠিক এইদিনে জন্মেছিলেন বাঙালির স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা তথা ‘মহানায়িকা’ সুচিত্রা সেন। এবার তার ৯৫ তম জন্মদিন। যদিও ১৯২৩, না ১৯৩১ জন্ম সাল নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে।

নিজের রূপ ও গুণের জাদুতে আট থেকে আশি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন আমাদের ‘মহানায়িকা’। রমা সেন থেকে সুচিত্রা সেন হয়ে ওঠার গল্পটা আমাদের অনেকেরই অজানা। মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ থেকে সুপারস্টার জার্নিটা সত্যিই অনন্য। তাঁর সিনেমায় আসার পেছনের গল্পটা কিছুটা এরকম। প্রখ্যাত পরিচালক বিমল রায় হলেন সুচিত্রা দেবীর মামাশ্বশুর। প্রথমবার দেখেই বলেছিলেন, “”তোমার মুখখানা দারুণ, তুমি সিনেমায় এলে সবাই গ্রহণ করবে তোমায়।” কিন্তু শ্বশুর আদিনাথ সেনের প্রবল আপত্তি ছিল বাড়ির বউয়ের সিনেমা জগতে প্রবেশ করায়। তারপরের গল্পতো কারোরই অজানা নয়।

মহানায়িকাকে শেষ জাঁকজমকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁর ৪৮ বছর বয়সে। তারপরই তিনি নেন স্বেচ্ছা নির্বাসন। পরবর্তিকালে দুই থেকে তিনবার মাত্র সাক্ষাৎ পাওয়া গিয়েছে মহানায়িকার। তারমধ্যে একবার ভোট দেওয়ার সময়। এমনকি মহানায়ক উত্তম কুমারের শেষযাত্রায়ও গিয়েছিলেন ছদ্মবেশে ক্যামেরার আলো থেকে অনেকটা দূরে।

কেন লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন থেকে মুখ ফেরালেন বাঙালির ‘মহানায়িকা’ তা এখনও সকলের অজানা। শুধু বাঙালির হৃদয় জুড়ে রয়ে গিয়েছে তাঁর প্রাণখোলা নিষ্পাপ হাসি। সবশেষে বলা যায় “কিছুক্ষণ আরও নাহয় রহিতে কাছে” সত্যিই কি আর কিছু সময় থেকে যেতে পারতেন না ‘মহানায়িকা’।