
ওঙ্কার ডেস্ক: সম্প্রতি ‘নয়া ভারত’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানী, তার ছেলে অনন্ত আম্বানী, আনন্দ মাহিন্দ্রা এবং মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে সম্পর্কে তাঁর উপস্থাপনায় তির্যক মন্তব্য করেন কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। তার পরের দিনই শিবসেনা গোষ্ঠীর অভিযোগের ভিত্তিতে খার পুলিশ মানহানির মামলা দায়ের করে শিল্পীর বিরুদ্ধে। এরপর কুণাল মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তিকালীন জামিন পেলেও পিছু ছাড়ছে না মুম্বই পুলিশ।
জানা গেছে, শিবসেনা পদাধিকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে খার পুলিশ কৌতুকাভিনেতা কুণাল কামরার বিরুদ্ধে আরও ৩টি মামলা দায়ের করেছে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মুম্বই পুলিশ এই নতুন ৩ মামলায় কুণালকে গ্রেফতার করতে পারে। অথবা নোটিশ জারি হতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে। কারণ, মাদ্রাজ হাইকোর্টের অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আদেশ নতুন মামলাগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
আইনজীবী সয়াজি নাংরের কথায়, “মাদ্রাজ হাইকোর্ট কুণালকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দিয়েছে। এখন কৌতুকাভিনেতার কাছে দু’টি পথ। হয় তিনি ৭ দিনের মধ্যে যে কোনও মামলায় আগাম জামিনের জন্য মুম্বই আদালতে যেতে পারেন, নতুবা তিনি কেবলমাত্র নতুন ৩ মামলার জন্য জামিনের আবেদন করতে পারেন। আইনজীবীর আরও বক্তব্য, “২৮ মার্চ দায়ের করা নতুন ৩টি মামলার জন্য গ্রেফতার হতে পারেন কুণাল। দায়রা আদালত তাঁর জামিনের আবেদন গ্রহণ না করলে অভিযুক্ত হাইকোর্টে যেতে পারেন। যদি হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর না করে তবে তাঁর জন্য সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা রয়েছে।” কুণাল কামরার কৌতুককাণ্ডের উদ্ভূত পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে, সেই সঙ্গে জনসাধারণের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে আইনজীবীদের মধ্যেও।