
স্পোর্টস ডেস্ক :আজ আইএসএলে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আওয়ে ম্যাচে নামছে ইস্টবেঙ্গল। ১৭ ম্যাচ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ টেবলের ৯ নম্বরে রয়েছে লাল-হলুদ বাহিনী। ছ’নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গে তাদের তিন পয়েন্টের দূরত্ব। তার ওপর তাদের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে সুনীল ছেত্রীর দল। অর্থাৎ, সেরা ছয় এই ম্যাচ জিতলে সোজা হবে অনেকটাই । কিন্তু সেখানে পৌঁছে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে গেলে বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে লাল-হলুদ বাহিনীকে। এদিন লাল হলুদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত ম্যাচের আগে বললেন , “এখন আর আমাদের খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত রাখার কথা ভাবলে চলবে না। কারণ, প্রতিটি পয়েন্ট এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোয়ায় আমরা তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য পূর্ণশক্তির দল নিয়ে নামব। এতদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছেলেদের খেলিয়েছি যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সবাইকে চোটমুক্ত অবস্থায় পাই। মুম্বই, চেন্নাই ও ওড়িশার বিরুদ্ধে তাই রোটেশনে খেলিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মরা-বাঁচার সময়। তাই এখন হাতের সব তাসই ব্যবহার করতে হবে”।
গত পাঁচটি ম্যাচে জয়হীন এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ও পরের চারটি ম্যাচ যে কত গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “এই ম্যাচে আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়ার চেষ্টা করতেই হবে। এই তিন পয়েন্ট খুবই জরুরি। এখনও ১৫ পয়েন্ট পেতে পারি আমরা। প্লে অফে যেতে গেলে আমাদের নম্বর দরকার। এই ম্যাচটা আমাদের কৌশল কাজে লাগিয়ে তিন পয়েন্ট পাওয়ার আরও একটা সুযোগ। খুশির খবর যে, কাল হিজাজি শুরু থেকেই খেলতে পারবে”।প্রতিপক্ষ গোয়াকে নিয়ে কুয়াদ্রাত বললেন,’ওরা গত কয়েকটা ম্যাচে ভাল খেলতে পারেনি। ফুটবল এ রকমই। দল ছন্দে না থাকলে ভাল ফল করা কঠিন হয়ে ওঠে। কয়েক সপ্তাহ আগে এই দলটাই দুর্দান্ত ফর্মে ছিল এবং ধারাবাহিক ভাবে ভাল ফল করছিল। হঠাৎ করে এখন তারা আর সে রকম ধারাবাহিক নেই। আসলে আত্মবিশ্বাস, ইতিবাচক থাকা, নিজেদের প্রতি আস্থা বজায় রাখা এবং কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা— এগুলো প্রয়োজন হয়। দল ছন্দে না থাকলে অনেক কিছু বেঠিক হয়। যেমন জামশেদপুরের বিরুদ্ধে বিষ্ণুর হেড পোস্টে লাগল। না হলে আমরা ওই ম্যাচে ২-০-য় জিততাম। ছোট ছোট জিনিস দলের গতিশীলতা নষ্ট করে দিতে পারে। গোয়া এখন সেই পরিস্থিতির মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু তারও শেষ আছে। তাই টানা হারের পর তারা ঠিক জয়ে ফিরবে। কিন্তু সেটা যাতে আমাদের বিরুদ্ধে না হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে আমাদের”।