
নিজস্ব প্রতিনিধি: জার্মানির ফ্রাঙ্কফ্রুটের রোজবাগে চক্রবর্তী বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় জমজমাট।রোজবাগে আর পাঁচজন বাঙালির সঙ্গে মিশে বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজো করতেন চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যরাও। তারপর একসময় ঠিক করেন নিজেরাই পুজো করবেন। বারোয়ারি পুজোয় আনন্দ হয় খুবই, কিন্তু বাড়ির পুজোর অনুভূতিটাই আলাদা। সেখানে শারদোৎসব না হলে মানায়।
তাই কলকাতার যাদবপুরের মেয়ে শতাব্দী চক্রবর্তী বিবাহসূত্রে ফ্র্যাঙ্কফুট গিয়ে ঠিক করেন নিজের বাড়িতেই দুর্গাপুজো করবেন। কলকাতা থেকেই মায়ের মূর্তি ও পুজোর সাজসজ্জা নিয়ে যান শতাব্দীর মা। পেশায় বিজ্ঞানী হলেও শতাব্দীর দুর্গাপুজোয় উপাচারে দিকে সবসময় নজর থাকে। ষষ্ঠীতে বোধন, সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নান। সব কিছু হয় নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে। সপ্তমী থেকে দশমী এখানে ভোগ খাওয়ানো হয়। দশমীতে মাংস।
বাংলার প্রথা মেনেই নবমীতে কুমারী পুজো হয় চক্রবর্তী বাড়িতে। শতাব্দীর ছোট্ট চার বছরের মেয়ে ঋষিকা এবারে কুমারী। নিজের মেয়েকেই কুমারী রুপে পুজো করেন ঋষিকার বাবা সপ্তর্ষি চক্রবর্তী।
শতাব্দী জানান, প্রতিমা যে আকারে খুব বড় হয় এমন নয়। প্রতিমা কতটা জাগ্রত হবেন তা তাঁর উচ্চতার উপরে নির্ভর করে না। একসময় জার্মানি থেকে বাংলায় যেত রাংতা বা ডাকের সাজ। আর এখন বাংলা থেকে জার্মানিতে যাচ্ছে শোলার কাজ। পুজোর পাঁচদিন আনন্দের স্বাদ চেটেপুটে নেয় চক্রবর্তী পরিবার। গতবারের পুজোয় সাড়ে তিনশো লোক এসেছিলেন, এবার দশমী পর্যন্ত পাঁচশো ছাড়িয়ে যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন। পুজোর চারদিন লুচি থেকে ভাত, পাঁঠার মাংস সব থাকে।