
সুমিত চৌধুরী: দ্রোহ কার্নিভাল নিয়ে হাইকোর্টে মমতা ব্যানার্জি যেচে থাপ্পর খেলেন। পুলিশ কমিশনার গ্রহ কার্নিভাল আটকাতে যে আইনি নোটিফিকেশন টা দাঁড় করিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে সেটা স্রেফ উড়ে গেল। এতটাই দুর্বল আইনি প্রস্তাবনা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আইনের ডিগ্রী রয়েছে। তবে আইনের ডিগ্রী না থাকলেও যে কোন দক্ষ রাজনৈতিক প্রশাসকের স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞান থাকাটা জরুরী। গত দু মাস ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শদাতা তারা বুঝতে পারছেন না বা বুঝতে চাইছেন না, শহর এবং শহরতলীর মধ্যবিত্ত মানুষ যারা নাগরিক সমাজের মনোভাব প্রচার এবং সংগঠিত করবার চেষ্টা একটা বড় সংবেদনশীল বর্গ ।
তাঁরা আরজিকরের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ভূমিকা ভালোভাবে দেখেনি। তাদের অনেকে ক্ষুব্ধ।
এদের সবাইকে সিপিএম অথবা নকশাল বলে দাগিয়ে দিয়ে লাভ নেই।
আর যদি হাইকোর্ট ধরে নিলাম অনুমতি দিল না কার্নিভালের। বাস্তবে প্রস্তুতি যে জায়গায় ছিল তাতে হাজার হাজার মানুষ রানী রাসমণি অভিনয় হতে দ্রোহ কার্নিভালের ডাকে জমা হয়ে যেত। পুলিশ কমিশনার তার নোটিফিকেশনের মর্যাদা রক্ষায় যদি ওখানে জমায়েত ভাঙ্গতে লাঠি কাঁদ্যানে গ্যাস চালাতে শুরু করতো সল্টলেক স্টেডিয়ামের মতো তাতে আন্দোলন এখন যে মুডে রয়েছে আগুনে ঘৃতাহুতি দেওয়ার কাজ করতো। আর যদি তা না করে সাক্ষী গোপালের মতো দাঁড়িয়ে থাকতো, তাহলে প্রশ্ন উঠে যেত এই নোটিফিকেশন দেয়ার মানে কি?
আমি আবার বলছি গত দু মাস ধরে প্রশাসন আগের পর এক ভুলভাল পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রশাসনের প্রয়োজনে অনেক কিছু কভার আপ করবার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিতে হয় এ কথা ঠিক। কিন্তু পরপর ভুল পদক্ষেপ সর্বনাশের দিকে এগিয়ে দেয়।