
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে প্রসাদী লাড্ডুতে ব্যবহৃত হচ্ছে গরুর চর্বি, মাছের তেল! ভাবতে অবাক লাগছে তাই না! তবে এরকমটাই ঘটেছে সেখানে। বেশ কিছুদিন এই নিয়ে অনেক অভিযোগ , জল্পনার পর অবশেষে টেস্ট রিপোর্ট সামনে এসেছে। রিপোর্ট সদর্থক। অর্থাৎ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে শ্রী ভেঙ্কেটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদি লাড্ডু তে সত্যিই গরুর চর্বি ও মাছের তেল এছাড়াও পাম তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাভাভিকভাবেই শোরগোল পরে গিয়েছে ঘটনাটি কেন্দ্র করে। বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন ফাইল দখিল করা হয়েছে। তবে অভিযোগ আমুল ডেয়ারি সংস্থার বিরুদ্ধে উঠলে সেটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
গত বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। চন্দ্রবাবু অভিযোগ ওয়াই এস আর কংগ্রেসের শাসনকালে প্রসাদের লাড্ডুকে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হতো ব্যবহার করা হতো মাছের তেল সহ আরো অনেক নিষিদ্ধ জিনিস। কিন্তু তেলেগু দশম পার্টি ক্ষমতায় আসার পর পরিবর্তন করে খাটি ঘি দিয়ে তৈরি হচ্ছে তিরুপতির ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাধি লাড্ডু। স্বাভাবিকভাবেই এরকম অভিযোগের পর শোরগোল পরে যায়। চক্ষূচড়ক গাছ সবার। তবে অবশেষে রিপোর্ট সামনে আসার পর নাইডুর দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। বলা বাহুল্য, রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় যে লাড্ডু ভক্তদের দেওয়া হয়েছিল তার অধিকাংশ তিরুপতি মন্দির থেকেই গিয়েছিল। তবে সেই লাড্ডু তে কি গরুর চর্বি মাছের তেল মেশানো ছিল? সেই নিয়ে এখনও অবধি কোন তথ্য হাতে আসেনি। সমাজ মাধ্যমে পুরো ঘটনা নিয়ে কয়েকজন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন যে এই তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহ করতেন আমুল ডেয়ারি। এরকম ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে সমাজমাধ্যমের ঐ ব্যক্তিটি চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেছেন আমুল ডেয়ারি সংস্থার ডেপুটি জেনারেল হেমন্ত গাউনি। তিনি বলছেন আমরা অর্থাৎ আমুল ডেয়ারি ঘি সরবরাহ করিনি।
বিষয়টা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে এবং আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে। বিতর্কের জল গড়িয়ে সুপ্রিম কোর্ট অব্দি পৌঁছায়। ধর্মীয় রক্ষার দাবি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ “মন্দির আমাদের কাছে ভগবানের জায়গা, গোটা ঘটনায় হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি নিয়ম কানুনকে লংঘন করা হয়েছে, সঙ্গে লক্ষ লক্ষ ভক্তের আবেগ অনুভূতির ওপর কালো দাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের ভাবাবেগ আঘাত পেয়েছে। ভগবানের প্রসাদের সাথে এভাবে ছেলেখেলা করার কোনো মানে নেই। এটা মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ত্রুটি। আমাদের হিন্দু ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা করে বিষয়টির দ্রুত পদক্ষেপ চাই”। স্বাস্থ্য মন্ত্রী যে জে পি নাড্ডা ইতোমধ্যেই সবিস্তারে চন্দ্রবাবুর কাছ থেকে প্রসাদের লাড্ডুর বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন।