
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার আমলে দেশের অর্থনীতির বিকাশে বেকারত্ব কমেছে বলে দাবি করলেও বিশ্ব ব্যাংক তাদের রিপোর্টে এই দাবী সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে ভারতের তরুণদের বেকারির হার বেড়েছে বিপুল হারে। মোদির শাসনকালেই বেকারির হার চরমে উঠেছে বলে রিপোর্টে জানা গেছে। তার আমলে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ভুটানের থেকেও ভারতের তরুণ প্রজন্মের বেকারত্বের হার বেশি এমনটাই বলছে রিপোর্ট। বেকারত্বের রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০২২ সালে ভারতের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.২২ শতাংশ। সেই সময় দাঁড়িয়েই ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বেকারত্বের হার ১১.৩ শতাংশ, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১২.৯ শতাংশ এবং ভুটানের বেকারত্বের হার ১৪.৪ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশগুলি ছাড়াও অন্যান্য দেশের বেকারত্বের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে ভারতের বেকারত্ব।
নরেন্দ্র মোদী তার নতুন ভাষণে বলেছেন-“তার আমলে দেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রযুক্তির কাজের দক্ষতা সরকারি উদ্যোগে বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কর্মসংস্থান বেড়ে গিয়ে বেকারের হার কমেছে”। কিন্তু নতুন বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় এবং কলকারখানা বন্ধ থাকায় কর্মসংস্থান হচ্ছে না, এতে বেকারত্ব বাড়ছে। তার আমলের দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রতিবছর কমছে, ফলে অন্যান্য দেশের থেকে পিছিয়ে পড়ছে ভারত।
মূলত ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের তরুণ প্রজন্ম হিসেবে ধরা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের সূত্রে এই বেকারত্বের হার নিয়ে সমীক্ষারিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, একের পর এক প্রকল্পও ঘোষণা করেছেন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত, সব প্রকল্প প্রচারের আলোয় কিছুকাল ভেসে থাকছে তারপর যে কে সেই।
২৫ বছর বয়সে বেকারত্ব বেড়ে যেমন ৪২ শতাংশ হয়েগেছে। আবার ৪০ বছর হলে বেকারত্ব কমে ৪.৫ শতাংশ নেমে এসেছে। এতে স্নাতকদের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই কারণেই স্নাতকরা কাজ না পেয়ে যেকোনো কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
শিল্পা নাথ ওংকার পরিবার সদস্য