
তামসী রায় প্রধান, ওঙ্কার বাংলাঃ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্লোগান “ইসবার ৪০০ পার”। ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরের মোদী শাহ নাড্ডা ব্রিগেড তাদের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া নিয়ে ছুটতে শুরু করেছে। কিন্তু ফের বড় ধাক্কা খেল পদ্মবাহিনী। এক কথায় লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপির স্বপ্নভঙ্গ।
হ্যাঁ ঠিক শুনছেন। মসনদ দখলের সমস্ত আশা ভরসায় “তাতো পানি”। কি করে স্বপ্নভঙ্গ হল শাহ নাড্ডার! তা জানতে হলে আপনাকে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েক দিন পেছনে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় ক্রস ভোটিংয়ের জেরে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের কাছে।
তারপর থেকেই কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দিতে তৎপর হয় বিজেপি। বুধবার সকালেই হিমাচলের বিরোধী নেতা জয়রাম ঠাকুর ও অন্য বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করেন। জয়রাম ঠাকুরের ইঙ্গিত ছিল, সুখবিন্দর সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে। এর পর এদিন সকালেই পেশ হল আস্থা ভোটের প্রস্তাব।
এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর পদত্যাগের খবর চাউর হয়। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ‘পদত্যাগ’এর জল্পনা নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘‘আমি কোথাও ইস্তফা দিইনি।’আর এর মাঝে বিধানসভায় বাজেট বিল পাশ করিয়ে নিল মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করে দিলেন তার সাথে ও পাশে তার দলের বিধায়করা আছেন।
কিন্তু অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি কেনও ভোট পেলেন না! সেই উত্তর এখনও স্পষ্ট নয় হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস থেকে কংগ্রেস হাই কমান্ডের কাছে। তবে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসর অনুমান, দুঁদে উকিল অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি গান্ধী পরিবারের যতই কাছের লোক হোক না কেনও, তাঁকে খুব একটা পছন্দ করে না কংগ্রেসর নেতা কর্মী জনপ্রতিনিধিরা। অনুমানের কারণ, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস যেই ইস্যুতে আন্দোলন করেছে, সেই ইস্যু সুপ্রিম কোর্টে যেতেই একাধিক বার কংগ্রেস বিরোধীদের হয়ে আদালতে সাওয়াল করেছেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।