
ওঙ্কার ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জমানায় কানাডার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ভারতের। সময়টা ছিল ৫০-এর দশক। এর ৭৪ বছর পর মোদী জমানায় কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো নয়। এদিকে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডোর পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব যিনি হাতে নেবেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি, সেদিকেই এখন নজর আন্তর্জাতিক মহলের। একসময়ে কানাডা ভারতকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল, বর্তমানে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনত হল কেন?
২০২৪-এর অক্টোবর থেকে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে৷ কানাডার অভিযোগ, সেদেশে বসবাসকারী শিখদের হুমকি ও খুন করার জন্য গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে ভারত। এই অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কানাডা সেদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মা-সহ ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। পাল্টা ভারতও নয়াদিল্লির কানাডা দূতাবাস থেকে ছয়জন কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করে।
ভারত ও কানাডা ৫৬টি দেশের কমনওয়েলথ গোষ্ঠীর সদস্য৷ কমনওয়েলথ দেশগুলি নিজস্ব সার্বভৌমত্ব এবং সরকার অটুট রেখে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করে চলে।
ভারত- কানাডার মধ্যে পারস্পরিক পারমাণবিক সহযোগিতা শুরু হয় ১৯৫০ সালে। সেইসময়ে পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করতে ভারতকে সহায়তা করে কানাডা। পর্যবেক্ষকদের মতে, ১৯৫৫ সালে কানাডা যদি ভারতকে ৪০ মেগাওয়াট সিআইআরএস সরবরাহ না করত, সেক্ষেত্রে ভারত আজও পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হতে পারত না। কানাডা প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম জ্বালানির অর্ধেকই সরবরাহ করে ভারতে। বাকি অর্ধেক সরবরাহকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদী জমানায় চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরিতা তৈরি হয়েছে ভারতের। ইদানীং সেই তালিকায় নয়া সংযোজন বাংলাদেশ।