
সুমন্ত দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল সাংসদ। দিল্লি হাইকোর্ট রাজ্যসভা সদস্য সাকেত গোখেলকে মানহানির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার রায় দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ক্ষমাভিক্ষার বার্তাটি অন্ততপক্ষে ৬ মাস তাঁর হ্যান্ডলে থাকতে হবে বলে নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্টের। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি-জেনারেল লক্ষ্মী পুরী তৃণমূল সাংসদ বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সোমবার সেই মমলার রায় দিল আদালত।
মামলার রায়ে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে ক্ষমা চাইতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ জুন এবং ২৬ জুন সাকেত তাঁকে নিয়ে টুইট হ্যান্ডলে অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি-জেনারেল লক্ষ্মী পুরী আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন রোজগার করেন। এমনকি সুইৎজারল্যান্ডে জমিবাড়ি কিনেছেন। সাকেত ওই ট্যুইটে লক্ষ্মী পুরীর স্বামী কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর নামও যুক্ত করেন।
২০২১ সালেই প্রাক্তন কূটনীতিক পুরী অভিযোগে বলেন, সাকেত গোখেলের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বাস্তবিক ভিত্তিহীন। সাকেত যা লিখেছেন তাতে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে। তাঁর আয় সম্পর্কে সাকেতের দাবির কোনও ভিত্তি নেই। দিল্লি হাইকোর্ট মানহানির মমালা করেন লক্ষ্মী পুরী।