
তামসী রায় প্রধান ও সুমন্ত দাশগুপ্ত,ওঙ্কারঃ কেরলের ওয়ানাড়ে তে অতিবৃষ্টি, বন্যা সঙ্গে দোসর ভূমিধস। যার জেরে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা । এখনও কয়েকশো মানুষ কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন। বাঁধভাঙা নদীর স্রোতে ভেসে গিয়েছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা তথা ওয়ানাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাতের অন্ধকারে ওয়ানড়েরতে অতর্কিতে নেমে এসেছে মৃত্যু। বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মাটির নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। বাঁধভাঙা নদীর স্রোতে ভেসে গিয়েছেন অনেকে। মঙ্গলবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা তথা ওয়ানাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, ওয়ানড়ের মুন্ডাক্কাই গ্রাম পুরো সাফ হয়ে গিয়েছে। সেখানে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এখনই বলা যাচ্ছে না। বিরোধী দলনেতা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ওয়ানাড় এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের বহু এলাকা ধসপ্রবণ হয়ে রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশের বহু জায়গাই ধসপ্রবণ হয়েছে, যা খুবই আতঙ্কের বিষয়। ফলে এই মুহূর্তে ধসপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে লোকসভায় বলেন রাহুল।
ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কান্নুর থেকে ধস কবলিত ওয়ানাড়ে পৌঁছে গিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল। ধস কবলিত এলাকায় জীবিতের খোঁজে পুলিশ ড্রোন নামিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। পুলিশ কুকুরের দলও জীবনের খোঁজ চালাচ্ছে কাদামাটির ভিতরে।
ঘটনার কথা জানার পর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি। রাজ্যসভাতেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, কেরলে যা ঘটেছে তা শুধু রাজ্যের ক্ষেত্রেই নয়, গোটা দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় সরকার সব ধরনের সাহায্য করছে।