
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ঃ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। তবে নীতীশ কুমারের রাস্তায় কাঁটা বিছাতে ইতিমধ্যে পথে নেমেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
বিহারের রাজনীতিতে রঙ বদলাচ্ছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। কিন্তু বিজেপির ৭৮ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে ফের পাটনার মসনদে নীতীশ কুমার। কিন্তু এবার তার রাজনৈতিক পথ কতটা মসৃণ হবে! তা নিয়ে আনেক প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, নীতীশের রাজনৈতিক পথে কাঁটা বিছাতে গেম প্ল্যান তৈরি করেছেন লালু, তেজস্বী। নীতীশ কুমারের এনডিওএ জোট সরকার গঠন আটকতে না পারলেও, অধিবেশন চলাকালীন নীতীশ কুমার আস্থা প্রস্তাবের সময় খেলার জন্য তৈরি হচ্ছে আরজেডি।
প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিহারের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। নীতীশ কুমার বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন আস্থা প্রস্তাব আনবেন। সূত্রের খবর, তখনই জেডিইউ’র কয়েক জন বিধায়ককে অনুপস্থিত রাখতে পরিকল্পনা পাকা করে ফেলেছে তেজস্বী। আবার জেডিইউ’র শিবিরে বেশ কিছু বিধায়ক ইতিমধ্যে নীতীশের বিজেপি প্রেম পছন্দ করছে না। তারাই লালুর ট্রাম কার্ড। সূত্রের দাবি সেই তালিকায় রয়েছে ১৬ জন জেডিইউ বিধায়ক।
বিহারের বিধানসভায় মোট আসন ২৪৩ টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির রয়েছে ৭৯ জন বিধায়ক। কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়ক। সিপিআইএমএল লিবারেশনের ১২ জন বিধায়ক। সিপিএমের ২ জন বিধায়ক। সিপিআইয়ের ২ জন বিধায়ক এবং ১ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন বিহারের মহাজোটে। অর্থাৎ, ১১৫ বিধায়কের সমর্থন পেতে পারেন লালু তেজস্বী ব্রিগেড। এছাড়া ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’র এক জন বিধায়কও প্রয়োজনে ‘মহাগঠবন্ধন’-কে সমর্থন করবেন বলে খবর। এদের সঙ্গে জেডিইউ’র ১৬ জন বিধায়ক যোগ দেন, তবে নীতীশের এনডিএ সরকারে পতন অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।