
ওঙ্কার ডেস্ক : গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও কাণ্ডের পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। সেই ঘটনার পর ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া। এই চুক্তি স্থগিত করায় সরব হয়েছে পাকিস্তান। ভারত জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেছিল ইসলামাবাদ। এ বার এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে জবাব দিলেন ভারতের প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ। পাকিস্তানের সন্ত্রাসের কারণে সিন্ধু জলচুক্তি কার্যকর বাধা পাচ্ছে বলে দাবি করল ভারত।
তাজিকিস্তানে গত তিন দিন ধরে হিমবাহ সংরক্ষণ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলছে। সেই সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ওই সম্মেলন মঞ্চ থেকে শুক্রবার ভারতকে নিশানা করে বলেন, ‘সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে, তা একতরফা এবং বেআইনি। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু এবং তার উপনদীগুলির জল বণ্টিত হয়। এ ভাবে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য লক্ষ লক্ষ জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা উচিত নয়। পাকিস্তান এটা মেনে নেবে না। আমরা ভারতকে লাল দাগ অতিক্রম করতে দেব না’
পাক প্রধানমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন ভারতের প্রতিনিধি। শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ বলেন, ‘পাকিস্তানের লাগাতার সীমান্ত-সন্ত্রাস সিন্ধু চুক্তির শর্তগুলি কার্যকর করতে বাধা দিচ্ছে। পাকিস্তান নিজেই আসলে চুক্তি লঙ্ঘন করছে। ওদের ভারতকে দোষারোপ করা বন্ধ করা উচিত।’ উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। মধ্যস্থতায় ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। সিন্ধু এবং তার পাঁচ উপনদীর জল দুই দেশের মধ্যে কী ভাবে বণ্টিত হবে, তা ঠিক করা হয় ওই চুক্তির মাধ্যমে।