
ওঙ্কার ডেস্ক: বাংলাদেশকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি গোষ্ঠী। কিছু দিনের মধ্যে এই পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে সংস্থাটি। অর্থাৎ তিন মাস পর বিদ্যুতের পুরো সরবরাহ পেতে চলেছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ বিদ্যুতের দামের উপর যে ছাড়ের আবেদন করেছিল, তা মানা হচ্ছে না আদানিদের তরফে।
২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী ঝাড়খণ্ডের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় ঢাকার তরফে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বলা হয়। আদানি গোষ্ঠীও গত বছরের ৩১ আগস্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। এদিকে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে দেরি হচ্ছিল বাংলাদেশের। বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোর তা আরেকটি কারণ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুতের খরচ বাবদ বকেয়া রয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্রের খবর, মহম্মদ ইউনুসের সরকার বিদ্যুতের দামে ছাড় দেওয়ার জন্য আদানি গোষ্ঠীর কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু আদানিরা বাংলাদেশকে সামান্যতম ছাড় দিতে রাজি হয়নি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ভারতীয় মুদ্রায় ৭৩৭ কোটি টাকা আদানি গোষ্ঠীকে প্রতি মাসে দিচ্ছে। মূলত বকেয়া মেটাতে এই বিপুল অর্থ আদানিদের দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে বকেয়া কমিয়ে আনাই লক্ষ্য বলে জানানো হয় ওই পর্ষদের তরফে।