
ওঙ্কার ডেস্ক : বিগত কদিনের চূড়ান্ত গরমের পর বৃষ্টির পুর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর । কিন্তু সেই বৃষ্টি স্বস্তির হল না বিহারে। জানা গেছে বিহারে গত ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৯ জনের এবং আহত বেশ কয়েক জন।
গত মঙ্গল এবং বুধবার মিলিয়ে ৭ জেলায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ১৯। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাজ পড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বেগুসরাই এবং দ্বারভাঙায় জেলায়। এই দুই জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সহর্ষ এবং সমস্তিপুরে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে মধুবনিতে। এ ছাড়াও এক জন করে মারা গিয়েছেন লখিসরায় এবং গয়ায়।
আবহাওয়া দফতর এর পূর্বাভাস আনুযায়ী গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন রাজ্য সহ বিহারের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে ঝোড়ো হাওয়ার এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ টানা বৃষ্টি চলেছে। বিহারের দ্বারভাঙা, মধুবনি, সমস্তিপুর, মুজফ্ফরপুর, সীতামঢ়ী, শিওহর, পূর্ব চম্পারণ, সহর্ষ, বেগুসরাই সহ একাধিক স্থানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। যদিও মৌসম ভবন আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিহারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় হবে। পাঁচ দিন ব্যাপী ঝড়বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি জেলায়। যদিও বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিদের সত্তর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিছুজনের অবস্থা সছনিও।
এ ছাড়াও এই জেলাগুলিতে শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আবহাওয়া দফতর মারফৎ খবর, আগামী বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, মুজফ্ফরপুর, বৈশালী, সমস্তিপুর, মাধেপুরা, পূর্ণিয়া, কাটিহার, ভাগলপুর, খাগাড়িয়া, বাঁকা, মুঙ্গের, জামুই, শেখপুরা, পটনা, নালন্দা, জেহানাবাদ এবং গয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজ্রপাতের সময় বাইরে না বেরিয়ে নিরাপদ স্থানে থাকার সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতর থেকে।
এই দুর্যোগে মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি।