
ওঙ্কার ডেস্ক : ২০১৯ সালের শেষ দিকে প্রথমবার চিনে ধরা পড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। অল্প সময়ের মধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। মাস্ক, স্যানিটাইজার, দূরত্ব মেনে চলা থেকে কোয়ারেন্টাইন—এই শব্দগুলো আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। এই ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। বহুদিন ধরে লকডাউনের কারনে ঘর বন্ধ থাকতে হয় সকলকে। করোনার কারণে বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ, অফিস, ব্যবসা। অফিস ব্যাবসা ঠিক করে না চলার কারনে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছিল অনেকেরই। পরবর্তি সময়ে টিকা আবিষ্কার হয়। সংক্রমণ কমতে থাকে, মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে। সবাই ভেবেছিল, করোনা চিরতরে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু না, নতুন করে আবার দেখা দিয়েছে আশঙ্কা।
সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ছে। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট, দিল্লির মতো রাজ্যগুলোতে আবার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস। বিশেষ করে JN.1 নামে একটি ভ্যারিয়েন্ট এবং তার দু’টি সাবভ্যারিয়েন্ট LF.7 ও NB.1.8 এখন বিশেষভাবে সক্রিয়। JN.1 আসলে ওমিক্রন BA.2.86-এর একটি নতুন রূপ, যার প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০২৩ সালের আগস্টে। নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও তাঁর অধিকাংশ সংক্রমণই হালকা। রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। শনিবার সংক্রমণের হার বাড়তেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জরুরি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য গবেষণা দফতরের সচিব, আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকে সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকার প্রভাব কিছুটা কমে যাচ্ছে। ফলে অনেকের শরীরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষ এবং যাঁদের আগে থেকেই কোনও রোগ আছে যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির অসুখ ইত্যাদি।এছাড়াও মরশুমি সংক্রমণ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও জমায়েতে অংশগ্রহণ, বেশি ভ্রমণ করা—এই সবকিছুই সংক্রমণ বাড়ার পিছনে বড়ো ভূমিকা নিচ্ছে। করোনা চেনার উপসর্গ
গুলি হল
* গলা ব্যাথা
* সর্দি কাশি
* গাঁটে ব্যাথা
* মাথা যন্ত্রণা
* অতিরিক্ত ক্লান্তি
এই উপসর্গগুলি থাকলে আজই সাবধান হোন। চিকিৎসকদের মতে, এর থেকে মুক্তি পেতে কি করবেন তা জেনে নিন
* জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরুন।
* বাইরে থেকে ফিরে হাত-পা ধুয়ে নিন।
* অবশ্যই পোশাক বদল করে ফেলুন।
* খাওয়াদাওয়ার আগে ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার।
* প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।