
ওঙ্কার ডেস্ক: সম্প্রতি পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে চলছে চর্চা। সেই আবহে এবার পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করল গুজরাট এটিএস। গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত ঘটনায় গত আট মাসের মধ্যে শুধু গুজরাটে এই নিয়ে তৃতীয় গ্রেফতারের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সংবেদনশীল সীমান্ত জেলা কচ্ছ থেকে ২৮ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের নাম, সহদেবসিংহ দীপুভা গোহিল। মাতা-না-মাধ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন তিনি। তদন্তকারীরা তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছেন, তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর ঘাঁটির গোপন ছবি এবং ভিডিও ‘অদিতি ভরদ্বাজ’ নামে এক হ্যান্ডলারের কাছে পাঠিয়েছিলেন। গোয়েন্দারা জানতে পারেন ‘অদিতি ভরদ্বাজ’ একজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা এজেন্টের ব্যবহৃত ছদ্মনাম।
এটিএসের তরফে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোহিল ২০২৩ সালের জুন বা জুলাইয়ের দিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে “অদিতি ভরদ্বাজ”-এর সংস্পর্শে আসেন, এরপর তাঁকে পরিকল্পিতভাবে সংবেদনশীল বিষয়বস্তু ফাঁস করার জন্য প্রস্তুত করা হয় – যার মধ্যে কচ্ছ অঞ্চলে নির্মীয়মাণ এবং সম্প্রতি কাজ সম্পন্ন হওয়া সামরিক স্থাপনার ছবিও ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, গোহিল তার আধার আইডি ব্যবহার করে একটি নতুন সিম কার্ড কিনেছিলেন, এর পর হোয়াটসঅ্যাপ চালু করেছিলেন অভিযুক্ত। পরে হ্যান্ডলারের কাছে ডিভাইসটি হস্তান্তর করেছিলেন তিনি। এদিকে সংবেদনশীল তথ্য পাঠানো অব্যাহত রেখেছিলেন অভিযুক্ত। আর এই কাজের জন্য তাঁকে একজন মধ্যস্থতার মাধ্যমে ৪০,০০০ টাকা নগদ দেওয়া হয়েছিল।’