
ওঙ্কার ডেস্ক: বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হওয়া বিচারপতির নামে এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০১৮ সালে একটি ঋণখেলাপির মামলায় তাঁর নামে এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই।
সিম্বাওলি সুগার মিলস-এর ডিরেক্টর-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। যশবন্ত বর্মা সেই সময় ওই সংস্থার নন এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন। ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স বা ওবিসি-এর অভিযোগের ভিত্তিতে সেই এফআইআর হয়েছিল। যেখানে ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ করা হয়েছিল ওই চিনিকলের বিরুদ্ধে।
ব্যাঙ্কের অভিযোগ অনুসারে, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্সের হাপুর শাখা ৫,৭৬২ জন কৃষককে সার ও বীজ কিনতে সাহায্য করার জন্য ১৪৮.৫৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী সেই টাকা কৃষকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বিতরণের আগে একটি এসক্রো অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা হয়। সিম্বাওলি চিনিকল সেই ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব নিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, সেই ঋণ শোধ করেনি সিম্বাওলি চিনি কল।
উল্লেখ্য, ১৪ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে হিসেবে বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়। এরপর ওই বিচারপতিকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদে বদলি করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। গত সপ্তাহে হোলির সময় বিচারপতির পরিবারের সদস্যরা শহরের বাইরে ছিলেন। সেই সময় বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা ইমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করলে তারা এসে টাকা দেখতে পান। পরে পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান তারা।
বিষয়টি সরকারি পদ্ধতির মাধ্যমে পৌঁছয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে। তাঁর নেতৃত্বে কলেজিয়াম বিচারপতি বর্মাকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয়।