
ওঙ্কার ডেস্ক: তাঁকে ‘খুনের’ দায়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চার ‘অভিযুক্তই’ বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। আর সেই আবহে ফিরে এলেন ‘খুন’ হয়ে যাওয়া সেই মহিলা। উদ্ভট এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলায়।
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী ললিতা বাই। ২০২৩ সালে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করত বাড়ির লোকজন। এমনকি বিকৃত দেহ নিয়ে শেষকৃত্যও করেছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু ‘খুন’ হয়ে যাওয়া সেই মহিলা বাড়ি ফিরে এসেছেন। আর এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছে তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়রা। তবে জীবন্ত অবস্থায় ললিতা বাড়ি ফিরে আসার পর দ্রুত তাঁকে নিয়ে গান্ধী সাগর থানায় গিয়েছেন তাঁর বাবা।
অন্যদিকে ললিতা বাইয়ের ‘হত্যা’র সঙ্গে জড়িত থাকার ‘অভিযোগে’ চারজন ইতিমধ্যে কারাগারে তাঁদের সাজা ভোগ করছেন। তাঁরা হলেন, ইমরান, শাহরুখ, সোনু এবং এজাজ। ললিতার বাবার কথা উল্লেখ করে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেহের কিছু চিহ্নের সাহায্যে পরিবারটি ওই মহিলার বিকৃত দেহ নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। বিকৃত দেহের হাতে ট্যাটু এবং পায়ে কালো সুতো বাঁধা থাকায় সেই দেহকে ললিতার দেহ বলে বিশ্বাস করেছিল তাঁর পরিবার।
বাড়ি ফিরে এসে ললিতা তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, শাহরুখের সঙ্গে ভানিপুরা গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ব্যক্তি তাঁকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। তার পর থেকে তাঁকে পাচার করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজস্থানের কোটায়। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে থাকার পর পালানোর সুযোগ পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ললিতা। নিজের পরিচয় প্রমাণ করার জন্য ললিতা পুলিশের কাছে তাঁর আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড পেশ করেছেন।
তবে ইতিমধ্যে ললিতাকে খুনের দায়ে যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের বিষয়ে পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ করা হবে তা ঠিক করবে থান্ডলা পুলিশ। মন্দসৌরের পুলিশ সুপার অভিষেক আনন্দ এ কথা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পুলিশ।