
ওঙ্কার ডেস্ক : স্কুলে যৌন হেনস্থার জন্য আত্মহত্যা করে এক ছাত্রী। অভিযোগ ওঠে ওই স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ওই শিক্ষক ততক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছেন মহাকুম্ভে। সেখানে সাধু সেজে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। পুলিশও অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরার জন্য সন্ন্যাসী সেজে নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছিল। চোর পুলিশের এই লুকছাপ থেকে অবশেষ ধরা পড়ল শিক্ষক।
ঘটনাটি ভোপালের সুখী সেওয়ানিয়া গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ২৫ জানুয়ারি রাতে সে বাড়িতে বিষ খায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুর আগে সে বাবাকে জানিয়ে যায়, স্কুলের এক শিক্ষক তাকে ক্লাসে যৌন হেনস্থা করেছেন।
এর তিন দিন পর, ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী এবং স্কুলের অন্য শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। যৌন হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ। যদিও তত দিনে ফেরার অভিযুক্ত। তিনি বিহারের কৈমুর জেলার বাসিন্দা। তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। পরে পুলিশ জানতে পারে, প্রয়াগরাজে পালিয়েছেন অভিযুক্ত। সেখানে সাধু সেজে রয়েছেন। এর পরে সেখানে পৌঁছোয় ভোপালের পুলিশ। তারাও সাধু সেজেই অভিযুক্তকে অনুসরণ করতে থাকে। একসময় প্রয়াগরাজ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তখনই পথে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ভোপালে একটি বেসরকারি কলেজে এমসিএ পড়ছিলেন। পাশাপাশি, ওই স্কুলেও পড়াচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।