
ওঙ্কার ডেস্ক: ১৩ ও ১৪ জুনের মধ্যরাতে মণিপুর পুলিশ, সেনাবাহিনী, সিএপিএফ ও আসাম রাইফেলস যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার করল ৩২৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক-সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসম্ভার। মণিপুর পুলিশের এডিজিপি লাহরি দর্জি লাটু জানিয়েছেন, পাঁচটি উপত্যকা জেলায় চালানো এই সমন্বিত অভিযানে উদ্ধার হয় ১৫১ টি এসএলআর রাইফেল, ৬৫ টি এনসাস রাইফেল, বিভিন্ন প্রকার ৭৩টি রাইফেল, ৫টি কার্বাইন বন্দুক, ১২টি এল এমজি রাইফেল, ৬ টি একে সিরিজের রাইফেল। এছাড়াও ৫৯১ টি মিশন ম্যাগাজিন, ১০০০ রাউন্ড গোলা বারুদ সহ আরও অস্ত্র হাতে আসে মণিপুর পুলিশের।
মণিপুর পুলিশের এডিজিপি লাহরি দর্জি লাটু জানান, “এই অভিযান শুধু অস্ত্র উদ্ধারের দিক থেকেই নয়, রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের পথে এক বড় সাফল্য হিসেবেও দেখা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এই অভিযানগুলির মূল লক্ষ্য ছিল মণিপুরে কুকি ও মৈতি গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা”।
শুধু জুনেই নয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও সামরিক বাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পসের নেতৃত্বে ২৬ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত মণিপুর পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং আইটিবিপির সহযোগিতায় চালানো অভিযানে গ্রেফতার করা হয় ২৩ জন ক্যাডারকে। উদ্ধার হয়েছিল ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৯টি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), গ্রেনেড ও অন্যান্য যুদ্ধোপকরণ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল মণিপুরের গোষ্টি দ্বন্দ ও উত্তেজনার সময় এতো বেশি পরিমানে অস্ত্র এলো কীভাবে? এর সূত্র ২০২৩ সালের মে মাসের উত্যক্ত মণিপুর। মণিপুরের অভ্যন্তরীণ গোষ্টি দ্বন্দের সময়কালে পুলিশ অস্ত্রাগার হামলা করে প্রায় ৬০০০ এর বেশি অস্ত্র লুট করেছিল। সেই অস্ত্রই উদ্ধার করা হয়েছে এই অপারেশন গুলিতে। মণিপুর পুলিশ, সেনাবাহিনী, সিএপিএফ ও আসাম রাইফেলস এই বিশাল সংখ্যায় অস্ত্র উদ্ধারকে এক সফল অভিযান হিসাবেই ধরা হচ্ছে। রাজ্যে শান্তি ব্যবস্থা ফিরেয়ে আনার জন্য এটি একটি গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।