
ওঙ্কার ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিষয়ে শনিবার মহম্মদ ইউনুস সরকারের তরফে দাবি করা হয় যে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। ধর্মীয় কারণে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এবার এবিষয়ে প্রশ্ন তুলল ভারত সরকারের একটি সূত্র। তাতে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে খুন করা হলে তা কীভাবে যুক্তিযুক্ত হয়?’
শনিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের প্রেস উইং বলেছে, ‘বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোট ১,৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিষদ জানিয়েছে হামলা, ভাঙচুর এবং লুঠপাট মিলিয়ে ২,০১০টি ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে সংখ্যালঘুদের জীবন, সম্পত্তি এবং উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘১,৭৬৯টি ঘটনার মধ্যে মোটে ৬২টি অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত ৩৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এও জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ ঘটনার ক্ষেত্রে হামলাগুলো সাম্প্রদায়িক ছিল না। রাজনৈতিক কারণে হামলা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, হামলার ১,২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক এবং ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক। অন্তত ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা।’
ওই বিবৃতির পর ভারত সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের তরফে বলা হচ্ছে ৯৮ শতাংশের বেশি ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এছাড়া অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে অথবা এই ধরণের ঘটনা রুখতে কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?’ তোলা হয়েছে এইসব প্রশ্নও।