
খেলা ডেক্স : গোয়ার মাঠে এফসি গোয়ার কাছে ১-০ গোলে হার মানতে হলো ইস্টবেঙ্গলকে । ম্যাচের শুরুতেই ১৩ মিনিটের মাথায় গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দেন ব্রাইসন ফার্নান্ডেজ। এরপর ইস্টবেঙ্গল গোল করার অনেক সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। এই নিয়ে চলতি আইএসএলে দশম হার টিম লাল হলুদের। সুপার সিক্স যে কঠিন সেটা স্বীকার করছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, “সেরা ছয়ে ওঠাকঠিন। এই ম্যাচের আগেই বলেছি, টানা তিনটে ম্যাচ না জিততে পারলে তা সম্ভব নয়। তাই এটা এখন খুবই উচ্চাকাঙ্খা বলা যায়। এ ভাবে খেলে যেতে পারলে অবশ্য ব্যাপারটা কঠিন হবে না। তবে আমাদের আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে হবে। একটা সেটপিসে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কম উচ্চতার খেলোয়াড়টি আমাদের গোলকিপার ও সেন্টারব্যাকের মাঝখান দিয়ে গোল করে দিল, এটা ঠিক না। সারা ম্যাচে ২৮টা ক্রস দিয়েছি আমরা, তাও গোল পাইনি। এটাও কম হতাশাজনক নয়। পরিসংখ্যান দেখুন, প্রায় ১৫টা সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। তা সত্ত্বেও আমাদের স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেনি। কারণ, ওদের সেন্টার ব্যাকরা ওদের বক্সে কার্যকরী হয়ে ওঠে”।
ম্যাচের বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, “এফসি গোয়া আমাদের চেয়ে কার্যকরী ফুটবল খেলেছে, সে জন্য ওদের অভিনন্দন। দুর্ভাগ্যজনক বলব না। গত দু’সপ্তাহেও এমন হয়েছে। কিছু কিছু সময়ে আমরাই খেলার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ভাবে করেছি। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচে ফয়সালা হয় বক্সের মধ্যে। সেটাই হয়েছে”।এছাড়া তিনি বললেন,’আমরা এমন অবস্থায় রয়েছি, যেখানে আমাদের ড্র করলেও চলবে না, পুরো পয়েন্ট পেতে হবে। তাই পরের ম্যাচগুলোতেও আমাদের সেই চেষ্টাই চালিয়ে যেতে হবে। যখন চোট সারিয়ে সবাই ফিরে আসবে, তখন নিশ্চয়ই আমরা আরও ভাল খেলব। আজ কী রকম দল নামিয়েছিলাম, সে তো নিজেরাই দেখেছেন। সাতজন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়কে নামাতে হয়েছে। তাও প্রথমার্ধে এফসি গোয়াকে আমরা ভালই আটকে রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু প্রথম গোলটা হয়ে যাওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তার পরেও ৬০-৬৫ মিনিট ধরে গোলের চেষ্টা করেও গোল পাইনি”।