
ওঙ্কার ডেস্ক: ছয়টি নতুন প্রজাতির গুবরেপোকা আবিষ্কার করলেন জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা। এই কাজে সহযোগিতা করেছেন জার্মানির মিউজিয়াম এ কেয়েনিগের গবেষকরাও। উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এলাকা থেকে এই গুবরেপোকাগুলির সন্ধান মিলেছে।
গবেষক দলে ছিলেন জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষক ডক্টর দেবাংশু গুপ্ত, ডক্টর দেবিকা ভুঁইয়া এবং ডক্টর কৈলাশ চন্দ্র এবং মিউজিয়াম এ কেয়েনিগের বিজ্ঞানী ডক্টর ডার্ক আরেনস। গবেষক দলটি পোকার নমুনাগুলি নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করে তাদের নামকরণ করেছেন।
নতুন যে ছয়টি গুবরেপোকা চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে মালাদেরা চাম্পাইনসিস (Maladera champhaiensi); এটি মিজোরাম এর চাম্পাই এলাকায় পাওয়া গিয়েছে। আরেকটি হল নিওসেরিকা চুরাচাঁদপুরেনসিস (Neoserica churachandpurensis); এটি পাওয়া গিয়েছে মনিপুর এর চুরাচাঁদপুরে। তৃতীয়টি হল মালাদেরা বরসিংহ (Maladera barasingha) ভারতীয় হরিণের সঙ্গে মিল থাকায় এমন নামকরণ করা হয়েছে। চতুর্থটি হল মালাদেরা লুমলায়েনসিস (Maladera lumlaensis); অরুণাচল প্রদেশের লুমলা এলাকার নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। পঞ্চমটি হল সেরিকা সুবানসিরিয়েনসিস (Serica subansiriensis), এটির নামকরণ করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশের সুবানসিরির নামে। নতুন আবিষ্কৃত হওয়া আরেকটি গুবরেপোকা হল মালাদেরা ওনাম (Maladera onam) কেরলে এর খোঁজ মেলায় সে রাজ্যের ওনাম উৎসব এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা ডক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই গবেষণাটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং সংরক্ষণের ফলাফলের অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং কীটপতঙ্গের জীববৈচিত্র্যের অনুসন্ধান এবং ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তাকে ইঙ্গিত করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই গবেষণাটি ট্যাক্সোনমিক স্টাডিজ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। পাশাপাশি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সঠিকভাবে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং তা নথিভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সংরক্ষণ পরিকল্পনা এবং পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করছেন। আমরা আঞ্চলিক জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধি আরও বাড়ানোর জন্য এবং এর সুরক্ষার কৌশলগুলি দৃঢ় করার জন্য, বিশেষত, উত্তর-পূর্ব ভারতে নমুনা সংগ্রহ প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানাই।’