
সুমিত চৌধুরী: রাজনীতির সমস্ত পণ্ডিতরা বলেই দিয়েছেন ২০২৪ মোদীর পক্ষে কেক ওয়াক। বিশ্ব গরুর ভাবমূর্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ড্যাং ড্যাং করে ৩০০ কেন ৪০০ পেরিয়ে যাবেন লোকসভার আসন সংখ্যার বিচারে।
এখন অব্দি ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী তথা এনডিও জোট এগিয়ে রয়েছে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ভোট যত কাছে আসছে দেখা যাচ্ছে আচমকার বিরোধী শিবির ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই ঘুরে দাঁড়ানোর চাপ এতটাই যে ইন্ডিয়া ব্লক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া। উত্তরপ্রদেশের জয়ন্ত চৌধুরীর দলকে ভাবতে হচ্ছে আবার বিরোধী শিবিরে ফেরৎ আসবে কিনা। শোনা যাচ্ছে মায়াবতীর উপর চাপ বাড়ছে ইন্ডিয়া ব্লকে যোগ দেয়ার জন্য।
প্রথমে খবর ছড়ানো শুরু হয়ে গেছিল যে ইন্ডিয়া ব্লক বলে আর কিছু থাকছে না। কিন্তু রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশে জোট করে ফেলতেই হাওয়া অন্যরকম হতে শুরু হয়েছে। যে আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের সঙ্গে সাপে নেউলে সম্পর্ক তে ছিল, সেই আম আদমি পার্টি পাঞ্জাব বাদে অন্য সমস্ত রাজ্যে আসন সমঝোতা পৌঁছে গেছে। যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিল্লি ৭ টি আসন। এছাড়া হরিয়ানা রাজস্থান গোয়া এবং চন্ডীগড়েও আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত।
হিন্দি বলয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাজনৈতিক দলের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরই indiablock অনেকটা লড়াইতে ফিরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের বিরোধীদের হাতে এই মুহূর্তে ১৭ টি সাংসদ আসন রয়েছে। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল রাম লালায় ভর দিয়ে বিজেপি এবং তার সহযোগীরা ৮০টার মধ্যে ৭৫ টি আসন দখল করে নেবে।কিন্তু গ্রাউন্ড থেকে যা রিপোর্ট আসছে তাতে মনে হচ্ছে ‘রাম’ ধাক্কা দেয়ার পরও বিজেপি উত্তরপ্রদেশের অন্তত বাইশটি আসনে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে পড়ছে।
উত্তর প্রদেশ ছাড়াও বিহার ও বিরোধীরা এবার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চলেছে। তেজস্বী যাদব, নকশাল পন্থী এবং কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে সেই প্রতিরোধের পুরো ভাগে রয়েছেন। তেজস্বী যাদব গোটা বিহার জুড়ে যে যাত্রা করছেন তাতে তুমুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গত সংসদ নির্বাচনে বিহারে চল্লিশটি আসনের মধ্যে ৩৯ টি আসন বিজেপি এবং তার সহযোগীরা বার করে নিয়ে গিয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়ে গেল অবাক হওয়ার কিছু নেই। যে কারণে অমিত শাহরা নিতিশ কুমারকে ফের ইন্ডিয়াতে ফেরত নিয়েছেন। যদিও আগে ঘোষণা করেছিলেন যে নিতীশ কুমারের জন্য এন ডি এর দরজা বরাবরের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে কংগ্রেস শরিকদের সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করা শুরু করতেই হিন্দি বলয় রাজনীতি আচমকা সরগম হয়ে উঠেছে।