
স্পোর্টস ডেস্ক :হায়দরাবাদে হার নেহাতই অঘটন। না হলে হয়তো ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারত ভারতীয় দল। তবে হোয়াইটওয়াশ না হলেও, এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টেস্ট সিরিজ জিতে নিল ভারতীয় দল। রাঁচি টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে পাঁচ উইকেটে জয় পেল ভারতীয় দল। চাপের মুখে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে ম্যাচ ও সিরিজ জেতালেন শুবমান গিল ও ধ্রুব জুরেল। চলতি সিরিজে ভারতীয় দলের অন্যতম প্রাপ্তি উইকেটকিপার-ব্যাটার ধ্রুব। ব্যাটিং ও কিপিংয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন তিনি। বাবা কার্গিল যুদ্ধে সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করেছেন। এখন ক্রিকেট মাঠে দেশের হয়ে লড়াই করছেন ধ্রুব। তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ ও সিরিজ জিততে সাহায্য করলেনটসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। এই সিরিজে স্টোকস প্রথমবার টস জিতেছিলেন। কিন্তু, উইকেটের চরিত্র বুঝতে না পেরে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। যাইহোক, ইংল্যান্ড এই টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক জো রুট প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১২২ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস উপহার দেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।তৃতীয় দিন ইংল্যান্ড ব্যাটিং বিপর্যয় হয়। আর ভারতের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১৮৯ রানের। এরপরে তৃতীয় দিনের শেষে বিনা উইকেটে ভারতের ওপেনিং জুটি তুলেছিল ৪০ রান। এরপর সোম-সকালে ৬৯ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন রোহিত শর্মা। সেই সময় রোহিতের সঙ্গে ছিলেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। এরপর জো রুট তুলে নেন যশস্বীর উইকেট। ৪১ বছর বয়সী জেমস অ্যান্ডারসন ডাইভ দিয়ে ক্যাচ তালুবন্দি করেন। যে ছন্দে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, তিনি ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু ২৫.১ ওভারে টম হার্টলি তুলে নেন রোহিতের উইকেট। ৮১ বলে ৫৫ রান করে মাঠ ছাড়েন রোহিত। এরপর দলকে জেতানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল রজত পাতিদার এবং শুভমন গিলের কাছে। রজত রাঁচিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ১৭ রান করে শোয়েব বশিরের শিকার হয়েছিলেন রজত। দ্বিতীয় ইনিংসে রজতকে রানের খাতা খোলার সুযোগই দেননি সেই শোয়েব বশিরই।
যেখানে ১ উইকেটে ৮৪ রান স্কোরবোর্ডে ছিল সেখানে ১০০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর শুভমন গিল ও রবীন্দ্র জাডেজা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এই জুটিকে রান তোলার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায়নি। লাঞ্চ বিরতিতে টিম ইন্ডিয়া তোলে ৩ উইকেটে ১১৮ রান। জয়ের জন্য সেই সময় প্রয়োজন ছিল ৭৪ রান। এরপর লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেই রবীন্দ্র জাডেজার উইকেট তুলে নেন শোয়েব বশির। ৪ রান করে মাঠ ছাড়েন জাড্ডু। তারপর মাঠে নামেন সরফরাজ। গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন তিনি।শুভমন গিল এবং ধ্রুব জুরেল সেই জায়গা থেকে দলকে জেতানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। শেষ অবধি ১৩৬ বলে শুভমন ও ধ্রুবর ৭২ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপে ভর করে ৫ উইকেটে এই টেস্ট ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। ৫২* রান করেন শুভমন আর ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন ধ্রুব। পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট আগামী ৭ মার্চ ধরমশালায়।