
ওঙ্কার ডেস্ক : কর্তৃপক্ষের চরম অমানবিক সিদ্ধান্তের শিকার হলেন আমেরিকার মিশিগানের বাসিন্দা টেরি এস্তেপ। ৩০ বছরের পুরোনো কর্মস্থলের এমন তুঘলকি ব্যবহারে বিমূঢ় তিনি। আমেরিকার মতো একটি উন্নত দেশে কর্মসংস্কৃতির এই রূপ দেখে অবাক তাঁর সতীর্থরাও। এই ঘটনায় টেরি তাঁর কর্মক্ষেত্র হান্টিংটন ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
জানা গেছে, ক্যানসারে আক্রান্ত অসুস্থ মেয়ের দেখাশোনার জন্য তিনি বিশেষ ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছে। ভরসা ছিল, মার্কিন আইনে চাকরিজীবীদের জন্য এ ধরণের ছুটির বিধান আছে। কিন্তু সেই আবেদন সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করার পরিবর্তে তাঁর হাতে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গত ২০২৩ সালে এপ্রিলে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে টেরির মেয়ের। লাস্ট স্টেজ। মেয়ের অসুস্থতার কারণে সে বছর টেরির সমস্ত সবেতন ছুটি চলে যায়। কিন্তু মেয়ে সামান্থার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। এমন অবস্থায় বিশেষ ছুটির আবেদন করেন টেরি। কিন্তু এই আবেদনে কর্ণপাত করেনি অফিস কর্তৃপক্ষ। সামান্য সৌজন্য বা সহানুভুতি না দেখিয়ে তাঁকে ৩০ বছরের চাকরু থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর মারা যান সামান্থা। টেরির আইনজীবী জানিয়েছেন, মায়ের চাকরি হারানোর জন্য নিজেকেই দায়ী করেছিলেন সামান্থা। চাকরি যাওয়ার খবর জানতে পেরে কান্নাকাটি করেছিলেন।