
ওঙ্কার ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে নাগাড়ে ধেয়ে আসছে ভারত বিরোধী হুমকি। হাত গুটিয়ে বসে নেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসও। শেখ হাসিনাকে বাগে আনতে নানান ফন্দিফিকির কষছেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুস। এই প্রেক্ষাপটে বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বৈঠক করলেন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্রী মাওলাভি আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে।
নয়াদিল্লি বা কাবুলে নয়, দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধি স্তরের এই বৈঠক হয় দুবাইয়ে। তবে সাউথ ব্লকের দাবি, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে কীভাবে পণ্য পরিবহণ হবে, এই বিষয় নিয়ে দুই দেশের আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথম বিদেশের মাটিতে বৈঠক হল দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক। আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানি বায়ুসেনার হামলার দু’সপ্তাহের মাথাতেই ‘কাছাকাছি নয়াদিল্লি-কাবুল।কপালে ভাঁজ পাক প্রশাসনের।
কাবুল প্রসাশনের অভিযোগ, গত ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। যদিও ইসলামাবাদের পাল্টা দাবি, আফগান তালিবানের একাংশের মদতপুষ্ট তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানপন্থী তালিবানদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের শাসকদলের অভিযোগ, বারমাল জেলায় লামান-সহ সাতটি গ্রাম লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। মৃত্যু হয়েছে মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। উল্লেখ্য, সাড়ে তিন বছর আগে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে কাবুলে ক্ষমতায় বসে তালিবান। তবে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রপুঞ্জ। যে কারণে আফগানিস্তানের ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই বর্তমানে। সেই প্রেক্ষিতে সমান্তরাল কূটনীতির মাধ্যমে কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখছে ভারত। এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি ও কাবুল।