
ওঙ্কার ডেস্ক: গত ২৮ মার্চ মায়ানমারে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা। সেদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪৭১। আহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৭১। এখনও পর্যন্ত হদিশ পাওয়া যায়নি ২১৪ জনের। তবে উদ্ধারকাজ এখনও চললেও বৃষ্টির জন্য তা ব্যাহত হচ্ছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিষয়ক বিভাগের প্রধান বলেছেন, বৃষ্টির জন্য মায়ানমারে কলেরা-সহ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আরও তাঁবুর প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিষয়ক বিভাগের প্রধান টম ফ্লেচার এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘পরিবারগুলো ধ্বংসস্তূপের বাইরে ঘুমাচ্ছে, আর প্রিয়জনদের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে বের করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জীবিতদের জন্য আরও তাঁবুর দরকার।’
মায়ানমারে ভূমিকম্পের পর ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। রবিবার ৩১ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। একটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে করে এই ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছিল। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটি থেকে এটি মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার। সেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একাধিক বহুতল, বহু বাড়ি, মসজিদ এবং অন্যান্য ভবন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে।