
ওঙ্কার ডেস্ক: বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক। সেদেশের আদালতের একটি নির্দেশকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার তুরস্কবাসী। ইস্তানবুলের মেয়র তথা তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলনেতা একরেম ইমামোগলুকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় পথে নামেন তাঁর ভক্ত ও অনুসারীরা।
দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চার দিন আগে একরেম ইমামোগলুকে আটক করেছিল তুরস্কের পুলিশ। রবিবার আদালতে সেই মামলা উঠলে বিচারপতি তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইমামোগলুর পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে আরও ২০ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইমামোগলুর আটক এবং পরে তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রকাশযে আসার পর কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিরোধী নেতা তথা ইস্তানবুলের মেয়রকে ফাঁসানো হয়েছে। গত দু’দশকের বেশি সময় ধরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
দীর্ঘ দিন তুরস্কে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা মাথাচাড়া দিতে পারেনি। তবে তুরস্কের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বর্তমানে ইমামোগলুকেই এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দেখছেন। প্রসঙ্গত, তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন রয়েছে ২০২৮ সালে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, সেই নির্বাচনে এরদোগানের সঙ্গে জোর টক্কর দিতে পারেন ইমামোগলু। শুধু তাই নয় সব হিসেবে উল্টে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মসনদেও বসতে পারেন তিনি। সেই আবহে তাঁকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে তুরস্কের মানুষ।