
ওঙ্কার ডেস্ক: সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। পাশাপাশি, লিবারেল পার্টির প্রধান পদ থেকেও তিনি পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন। ঘরেবাইরে চাপের মুখে পড়ে ট্রুডো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। নেতৃত্বের দৌড়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাঁদের নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের নাম।
অনিতা আনন্দ
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দও। বর্তমানে সে দেশের পরিবহণ মন্ত্রীর পদে রয়েছেন অনিতা। ২০১৯ সাল থেকে তিনি কানাডার সাংসদ। তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অনিতা। পড়াশোনা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। কানাডার প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
মেলানি জোলি
কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি পরিচিত একটি নাম। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংকট মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। তিনিও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে।
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড লিবারেল সরকারের একজন পরিচিত মুখ। তিনি কানাডার প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে ফ্রিল্যান্ডকে অনেকে এগিয়ে রাখছেন। করোনা পরবর্তী সময়ে কানাডার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত ফ্রিল্যান্ড। সম্প্রতি ট্রুডোর সমালোচনা করে পদত্যাগ করেন তিনি।
মার্ক কার্নি
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি ব্যাঙ্ক অব কানাডা এবং ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের প্রাক্তন গভর্নর। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনীতি বিষয়ে অভিজ্ঞ কার্নি রাজনীতিতে নতুন। তবে তাঁর দক্ষতা প্রার্থী হিসেবে তাঁকে দৌড়ে রেখেছে।
ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শাঁপেন
ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞ ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শাঁপেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্প মন্ত্রকের মন্ত্রী। ট্রুডোর পর তাঁর নাম নিয়েও হচ্ছে চর্চা।
ডমিনিক লেব্লাঁ
ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ ডমিনিক লেব্লাঁ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। দীর্ঘ দুই দশকের সংসদীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
ক্রিস্টি ক্লার্ক
ট্রুডোর অন্যতম সমালোচক হিসেবে পরিচিত ক্রিস্টি ক্লার্ক। ট্রুডোর বিদায়ের পর তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার লড়াইয়ে সামিল হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।