
ওয়েব ডেস্ককর্মী: ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, নির্বাচনে না জিতলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবো। তবে ট্রাম্প জিতেছেন। এরপরই একের পর এক দুঃসংবাদ সামনে আসছে। একদিকে সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত মার্কিন মুলুকের বেসরকারি অসংখ্য সংস্থার কর্মীদের সপ্তাহে ৬দিন লাগাতার কাজ করতে হবে। এই খবরের পাশাপাশি ভয় ধরানো আরেকটি খবরও সামনে এসেছে।
ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স সূত্রের খবর, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাঙ্কগুলোর কর্মীসংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কমানো হবে। এই সময়সীমায় ছাঁটাই করা হবে মোট দুই লক্ষাধিক কর্মীকে। কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলোর কর্তৃপক্ষ এআই চালু করতে চলেছে।
ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্ট অনুসারে, ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাঙ্কগুলোর সেইসব কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে যে সমস্ত বিভাগে রুটিনমাফিক কাজ হয়। ব্যাঙ্কগুলোর নথিপত্র দেখভাল সংক্রান্ত বিভাগে যে সমস্ত কর্মী কাজ করেন তাঁদেরই আগে ছাঁটাই করা হবে। এছাড়া যে বিভাগগুলোর কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে, সেই তালিকায় রয়েছে ব্যাকঅফিস থেকে আরম্ভ করে ডাটা অ্যানালিসিস-সহ অন্যান্য বিভাগও।
অন্তত দুই লক্ষ কর্মী কী কারণে ছাঁটাই করা হতে চলেছে, সেব্যাপারে ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে তার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাঙ্কগুলোর কর্তৃপক্ষের কাজ চালাতে ব্যাপক হারে এআই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের দুই-তৃতীয়াংশ কাজই চলবে এআই-এর মাধ্যমে। ফলে মানবসম্পদের দরকার পড়বে না বেশ কিছু বিভাগে। ব্যাঙ্কগুলোতে আর্থিক বিশ্লেষণের যে কাজকর্ম হয়, সেজন্য প্রবীণ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের পরিবর্তে অল্পবয়স্ক ও কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মীদের দিয়ে কাজ চলে যাবে।
আরও জানা গিয়েছে, এভাবে মোট কর্মীর ৩ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। তবে এই হিসেব নিয়ে চলছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, সিটিগ্রুপ, গোল্ডম্যান সচস, জেপি মর্গান-সহ বেশ কিছু ব্যাঙ্ক এআই ব্যবহার করে ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে।
ব্যাঙ্কগুলোর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এআই ব্যবহারের ফলে ব্যাঙ্কগুলোর লাভ অনেকটাই বাড়বে। এদিকে লাভের পরিমাণ বাডা়তে সাধারণ কর্মীদের জীবন-জীবিকা অদূরভবিষ্যতে বিপন্ন হতে চলেছে। এনিয়ে মার্কিন মুলুকে ট্রাম্প জমানায় ব্যাঙ্ককর্মীরা সঙ্ঘবদ্ধ কোনও আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন কিনা তাই এখন সময়ের অপেক্ষা।