
স্পোর্টস ডেস্ক : স্কটল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ড হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন ত তিন দেশেরই ক্লাব ফুটবলে চুটিয়ে খেলেছেন। খেলেছেন স্কটিশ ও অজিদের জাতীয় দলের হয়েও। এখন তিনি এসেছেন ভারতের ক্লাব ফুটবল মাতাতে। এর আগে যে সব দেশগুলিতে খেলেছেন, সেখানে ফুটবলের মান ভারতের চেয়ে ভাল হতে পারে, কিন্তু একটা ব্যাপারে যে কলকাতাই সেরা, এ কথা স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের নতুন বিদেশি তারকা জেসন কামিংস। তিনি একবাক্যে স্বীকার করেন কলকাতার সমর্থকদের মতো এমন আবেগপ্রবণ, প্রাণোচ্ছ্বল ও স্বতস্ফূর্ত সমর্থক তিনি আর কোনও দেশে দেখেননি।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইউটিউব চ্যানেলে ‘ইন দ্য স্ট্যান্ডস’ অনুষ্ঠানে কামিংস বললেন,এখানকার ফুটবলপ্রেমীরা কতটা আবেগপ্রবণ। সত্যি বলতে, এর আগে আমার সঙ্গে এমন কখনও হয়নি”।
এ-লিগে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে খেলে ২০২২-২৩ মরশুমে ২৯টি ম্যাচে ২১টি গোল করেন ও ছ’টি গোলে অ্যাসিস্ট করেন তিনি। লিগের চারটি ম্যাচে জোড়া গোল করেন কামিংস এবং ফাইনালে মেলবোর্ন সিটি-র বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৬-১-এ জিতে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্যও করেন। এই ক্লাবের হয়ে মোট ৫০টি ম্যাচ খেলে ৩১টি গোল করেন তিনি। অ্যাসিস্ট করেছেন ১২টি গোলে। ক্লাব ফুটবলে এ পর্যন্ত সাড়ে তিনশোরও বেশি ম্যাচ খেলে ১৪৫টি গোল ও ৪৮টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর। যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, নিজের জাত চিনিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ২৭ বছর বয়সী কামিংস। কলকাতায় এসেও ইতিমধ্যেই চারটি ম্যাচে তিনটি গোল করে ফেলেছেন তিনি।তাঁর ভারতে ফুটবল খেলতে আসার অন্যতম কারণ যে এখানকার সমর্থকেরা, তা জানিয়েই কামিংস জানান, তাঁর কাছ থেকে যেমন সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক, তেমনই সমর্থকদের কাছ থেকেও তাঁর প্রত্যাশা অনেক। তিনি বলেন, “ভারতে আসার প্রস্তাবটা আমার খুব রোমাঞ্চকর লেগেছিল। আর আমি নিজেকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে ভালবাসি। ভিডিওতে দেখেছিলাম, এই ক্লাবের যে ঐতিহ্য রয়েছে। এটা একটা ইতিহাস, এটা সত্যিই এক প্রতিষ্ঠিত ক্লাব। বিভিন্ন প্রজন্মের সমর্থক রয়েছে। যখন দেখলাম এখানকার সমর্থকদের আবেগ সীমাহীন। ওরাই আমার কাজটা সহজ করে দেয়, ওরা রোজ আমাকে মেসেজ করত। ওরা আমার টুইটারে, ইনস্টাগ্রামে চলে আসে এবং প্রতিদিন মেসেজ পাঠাতে শুরু করে। আমার মনে হল, এ সবের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে নেওয়া উচিত। এখানে এসে এই ক্লাবের অন্যতম কিংবদন্তি হয়ে উঠতে চাই আমি! এটাই এখানে আসার কারণ”!
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে যে বার্তা দিয়ে শেষ করেন তিনি, তা হল, “আমরা প্রতিটা ট্রফি জিততে চাই এবং সে জন্য আমরা নিজেদের উজাড় করে দেব। আমাদের শুধু চাই তোমাদের সমর্থন, জানি তোমরা আমাদের তা দেবে। জয় মোহনবাগান।’