
ওঙ্কার ডেস্ক : ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর। ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর একদিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলার বসন্তগড় অঞ্চলে শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে শহিদ হলেন এক বাঙালি সেনা, নদিয়ার পাথরঘাটার বাসিন্দা ঝন্টু আলি শেখ।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শহিদ জওয়ান ৬ প্যারাস্যুট রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। এনকাউন্টার চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেনার ‘হোয়াইট নাইট কোর’-এর পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেল-এ জানানো হয়েছে, ‘‘কর্তব্যপালনে ঝন্টু আলি শেখের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’
গোটা দুধু-বসন্তগড় অঞ্চলে এখনও চলছে সেনা অভিযানে গুলির লড়াই। সেনা সূত্রে খবর, পাল্টা জবাবে মুখতোড় গুলিবর্ষণ শুরু করেছে ভারতীয় বাহিনী।
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রথম খবরটি জানান তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। তিনি লেখেন, “কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হলেন নদিয়ার তেহট্ট ব্লকের পাথরঘাটার বীর বাঙালি সৈনিক ঝন্টু আলি শেখ। অমর রহে।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসর এলাকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালের নাগরিক। হামলায় গুরুতর আহত অনেকেই। এরপর থেকেই উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে তল্লাশি ও এনকাউন্টার অভিযান।
উদ্ধত সীমান্তের আবহে, ফের এক বাঙালি সন্তানের রক্তে রঞ্জিত হল দেশের মাটি। ঝন্টু আলি শেখের আত্মত্যাগ যেন অরণ্যে নয়, বরং অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে আগামী প্রজন্মের কাছে।