
নভেম্বের শেষ হতে চলেছে,কিন্তু এখনও দেখা নেই শীতের।জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় ভালো মানের গুড়ের অভাব দেখা দিয়েছে ।তাই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মোয়া ব্যাবসায়ীদের। এর ফলে সুস্বাদু মোয়ার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে বঙ্গবাসীকে।
শীত পড়লেই ভোজন রসিক বাঙালির পাতে হরেক রকমের সুস্বাদু খাবারের সমাহার দেখা যায় । নলেনগুড়,পিঠে পুলি এবং বিশ্ব বিখ্যাত জয়নগরের মোয়া সেই তালিকায় মাস্ট।এগুলির মধ্যে জয় নগরের মোয়ার কথা সবার আগে মনে পড়ে।।কথায় আছে জোরদার শীত না পড়লে ভালো স্বাদের জয়নগরের মোয়া পাওয়া যায়না। কিন্তু এবার নভেম্বরে শেষ এবং ডিসেম্বরের শুরুতে যে হারে ঠান্ডা পরার কথা সেই পরিমানে ঠান্ডা এখনও সেই পরিমাণ ঠান্ডা পড়েননি ।হাঁড় কাপুনি ঠান্ডা না পড়ায় জয়নগরের মোয়া বিক্রেতাদরা ভালো গুড়ের জোগান পাচ্ছেনা। বিক্রেতাদের দাবি ভালোও মানের গুড় না পাওয়ায় তারা মোয়া তেরি করতে পারছেন না। মোয়া বিক্রেতারা জানাচ্ছেন মোয়া তৈরিতে যে সব কাঁচামাল ব্যাবহার হয় তার প্রত্যেকটারই অনেক বেশি দাম বেড়েছে।তাই এই বছর ময়ার দাম অনেকটাই বাড়বে
প্রশঙ্গত, শীতকাল এবং খাবার এই দুই যেনও জমিয়ে তোলে বাঙ্গালির শীতলতম উৎসবের মেজাজ। শীতকালীন উৎসবের খাওয়া শুরুটা গরম কড়াই শুটির কচুরির সাথে হলেও শেষটা হয় নড়েন গুড়ের তৈরি ভিন্ন স্বাদের মিষ্ঠির সাথে। বাঙ্গালির কাছে শীতকালীন মিষ্টি বলতে মনে পড়ে নড়েন গুড় আর বিশ্ব বিখ্যাত জয়নগরের মোয়া।আর এবছর জয়নগরের মোয়া বাজারে এখনো না ওঠায়, হতাশ খাদ্য রসিক বাঙ্গালিরা। পাশাপাশি জয়নগরের মোয়া বিক্রি করতে না পারায় সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে বিক্রতাদের।