
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা : জামিন হল না যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত পড়ুয়া সৌপ্তিক চন্দ্রের। বুধবার তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। গত ১ মার্চ রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মঙ্গলবার সৌপ্তিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সৌপ্তিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বুধবার আদালতে সৌপ্তিকের আইনজীবী জানান, বৃহস্পতিবার সৌপ্তিকের পরীক্ষা রয়েছে। তাই যে কোনও শর্তে তার জামিনের আর্জি জানান আইনজীবী। আদালতে আইনজীবী দাবি করেন, এফআইআরে তাঁর মক্কেলের নাম নেই। এই ঘটনায় যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, বরং তাঁদের ডাকা হোক বলে সওয়াল করেছেন তিনি। অভিযুক্তদের না পেয়ে ভাল ছাত্রদের পুলিশ ডেকে পাঠাচ্ছে বলে সওয়াল করেন। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, সৌপ্তিক প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল সৌপ্তিক-সহ যাদবপুরের বেশ কয়েক জন পড়ুয়াকে। সেই তলবের প্রেক্ষিতে পড়ুয়ারা মিছিল করে থানায় যান। তার পর ওই পড়ুয়াদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ জানায়, সৌপ্তিককে গ্রেফতারের কথা। গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্যে আসতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ মার্চ রাতেই সাহিল আলি নামে এক প্রাক্তন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া। একই মামলায় গত ১২ মার্চ সৌম্যদীপ ওরফে উজান নামে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উজান দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। যদিও সাহিল পরে আদালতে জামিন পান।