
ওঙ্কার ডেস্ক: গাল কেটে যাওয়ায় হাসপাতালে এসেছিল সাত বছর বয়সী এক ছেলে। কিন্তু তার ক্ষতস্থান সেলাই করার পরিবর্তে ফেভিকুইক আঠা লাগিয়ে দেন কর্তব্যরত নার্স! গত ৩১ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের হাভেরি জেলার হানাগালের আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইতিমধ্যে ওই নার্সকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ছেলেটির নাম গুরুকিষান। খেলতে গিয়ে তার গাল কেটে যায়। ক্ষত গভীর হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য ছেলেটির পরিবার তড়িঘড়ি তাকে আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত নার্স ক্ষতস্থান সেলাই করার পরিবর্তে ফেভিকউইক আঠা দিয়ে তা জোড়া দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই নার্সের এমন অদ্ভুত কাণ্ড দেখে বিস্মিত হয়ে যান ছেলেটির বাড়ির লোকেরা। ওই নার্স কেন এমন কাজ করলেন তা জানতে চান। জবাবে নিজের কাজের সাফাই দিয়ে গুণধর নার্স বলেন, সেলাই করলে ছেলেটির মুখে দাগ হয়ে যাবে। তাই ত্বকের বাইরে ফেভিকুইক ব্যবহার করেন তিনি।
সেই সঙ্গে অভিযুক্ত নার্স আরও দাবি করেন, তাঁর যতটা ক্ষমতা, সেই মতো তিনি চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, তাঁরা যদি ফেভিকুইক ব্যবহারে আপত্তি করতেন, তাহলে আমি তাদের অন্য হাসপাতালে রেফার করতাম।
এদিকে গোটা ঘটনার ভিডিও করে ছেলেটির পরিবার। বিষয়টি জানিয়ে আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি গ্রহণ করে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজেশ সুরাগিহাল্লি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত নার্সকে সাসপেন্ড করেছেন তিনি।