
ওঙ্কার ডেস্ক : কসবা কাণ্ডে রহস্যের ছাপ। হালতুতে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় উঠছে অনেক প্রশ্ন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রশ্ন, আড়াই বছরের শিশু তো আত্মহত্যা করতে পারে না! তবে তাকে মারলেন কে? বাবা না মা? কী ভাবেই বা মৃত্যু হল তার? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
হালতুর পূর্বপল্লি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সোমনাথ রায়। মঙ্গলবার সোমনাথ এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল বন্ধ ঘর থেকেই। ফলে বাইরের কেউ এই তিন জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী, তা প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে না তদন্তকারীদের। প্রশ্ন উঠছে, আড়াই বছরের শিশুর মৃত্যু কী ভাবে হল? পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশুর চোখের কাছে এক দিকে কালশিটের দাগ রয়েছে। কী ভাবে ওই কালশিটের দাগ পড়ল, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে শিশুর মৃত্যুর কারণও খুঁজছেন তদন্তকারীরা। বুধবার তিন জনেরই ময়নাতদন্ত হবে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে।
মঙ্গলবার রায় পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধারের পরেই সুমিত্রার বাপের বাড়ির লোকজন দাবি করেন, সম্পত্তির কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। কসবা থানায় এই ঘটনায় দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রথমটি করেছেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। তিনি সোমনাথের মামা প্রদীপ, মামি নীলিমার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ করেছেন সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক। তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পরই পুলিশ সোমনাথের মামা, মামি এবং মাসিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সুমিত্রার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে সোমনাথের মামা প্রদীপকুমার ঘোষাল এবং মামি নীলিমা ঘোষালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।