
ওঙ্কার ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর নয়াদিল্লি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল তার আগেই এই ঘটনায় দায় ঝেড়ে ফেলেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, ভারতের তরফে এই হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করার আগে থেকেই কেন দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা শুরু করল ইসলামাবাদ? তাহলে কি পাকিস্তান মদত দিয়েছে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায়?
এই হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেন, ‘জঙ্গি হামলায় তাদের হাত নেই’। আর এই দাবির পরেই সরব হয় নয়াদিল্লি। ভারতের দাবি, বিশ্বের দেশগুলির চোখে ধুলো দেওয়ার অক্ষম চেষ্টা পাকিস্তানের। এই হামলায় তাদের ভূমিকা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা বলেন, ‘পহেলগাঁওয়ে হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগ নেই।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘নাগাল্যান্ড থেকে কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়, মণিপুর এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহ চলছে। মনে হচ্ছে, এই হামলায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই, বরং স্থানীয় বৃহত্তর বিদ্রোহের ফল!’
উল্লেখ্য সপ্তাহখানেক আগে কাশ্মীর নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। কাশ্মীর পাকিস্তানের ‘ঘাড়ের শিরা’র মতো এবং এই অঞ্চলকে ইসলামাবাদ কখনও ‘ভুলবে না’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাক সেনাবাহিনীর প্রধানের মন্তব্যটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। সেই বৈঠকে ছিলেন মোদী নিজেও। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে হামলা পরবর্তী পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতি ভারতের অবস্থান কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকের পর কেন্দ্রের তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ পদক্ষেপ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা।