
ওঙ্কার ডেস্ক: দিল্লীর বিধানসভা ভোটের আগেই ফের বড় ফাটলের মুখে ইণ্ডিয়া জোট। কংগ্রেসকে বহিষ্কারের দাবিতে সরব কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। জোটের সহযোগী দলগুলির কাছেও এ বিষয়ে বার্তা পাঠাতে শুরু করেছে কেজরীর দল। দিল্লির কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন বুধবার কেজরীওয়ালকে ‘ফর্জিওয়াল’ বলেছিলেন এবং গত এক দশকে আপের শাসনে দিল্লি দুর্নীতি এবং অনুন্নয়নের শিকার বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘‘কেজরীওয়ালের কোনও মতাদর্শ নেই। তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপির ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ, সিএএ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করেছেন।’’ ইতিমধ্যেই কেজরীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিতকে প্রার্থী করেছে যার জেরে দু’দলের বিবাদ আরও তীব্র হয়েছে। সাত মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস এবং আপ কিন্তু সাতটি আসনেই বিজেপি জিতেছিল। তার পরেই বিচ্ছেদ হয় ‘ইন্ডিয়া’র দুই সহযোগীর। দিল্লির পড়শি হরিয়ানায় লোকসভা ভোটে জোটে বেঁধে লড়লেও সেপ্টেম্বরের বিধানসভা ভোটে দু’দল আলাদা ভাবেই লড়েছিল।
প্রসঙ্গত, ইণ্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে বারবার সংসদে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল সাংসদরা, এবং তাদের সাথে সামিল হয়েছিল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও। এছাড়াও সংসদ চত্বরে বিভিন্ন প্রতিবাদে কংগ্রেসের পাশে দেখা যায়নি কোন বিরোধী দলকে। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, এনসিপি এর সভাপতি শরদ পওয়ার, শিবসেনা (উদ্ধব)-এর আদিত্য ঠাকরে, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার মতো বিরোধী নেতারা বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে মমতাকে তুলে ধরার পক্ষে সওয়াল করেছেন বারবার। এবার কংগ্রেসকে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব থেকে সরাতে মাঠে নামল আরেক প্রধান শক্তি আপ, তাই বিরোধী জোটে এখন কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ চরম অনিশ্চয়তায়।