
স্পোর্টস ডেস্ক :ইডেন গার্ডেন্সে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ১ রানে হারিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ২২২ রান করে কেকেআর। জবাবে ২২১ রানে অলআউট হয়ে গেল আরসিবি। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল কেকেআর। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষেই থাকল আরসিবি।এদিন টস জিতে ফাফ ডু প্লেসি বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিকে উইকেটের চরিত্র পরিবর্তন হতে পারে বলে তিনি সেটার সুবিধা নিতে চান। ওপেন করতে নেমে এদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনের জুটি প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি। প্রতিটা ম্যাচে যেই জুটি বিধ্বংসী শুরু করত এদিন সেই জুটি মাত্র ৫৬ রান করতে পারে। ফিল সল্ট ৪৮ রান করেন। তিনি দ্রুত রান তুলতে যান, কিন্তু পারেননি। আর সুনীল নারিন হতাশার মতো পারফর্ম করেন। তিনি ১৫ বল খেলে ১০ রান করেন। ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র তিন রানে আউট হন। বড় শট খেলতে গিয়ে ফেরেন তিনিরান তাড়া করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হতাশাজনক পারফরম্যান্স করে। বিরাট কোহলি ১৮ রান করে আউট হন। তাঁর আউট নিয়ে বিতর্ক হয়। পরে যদিও তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নেমে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। তিনি মাত্র সাতটা বল খেলেন। এরপর ব্যর্থ হন ফাফ ডু প্লেসি। তিনি সাত রান করেন। চূড়ান্ত ব্যর্থ হন তিনি। কঠিন সময়ে দলের হাল ধরেন উইল জ্যাকস ও রজত পতিদার। ৩৫ রানে দুই উইকেট থেকে এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ১৩৭ রানে। উইল জ্যাকসকে ৫৫ রানে আউট করে পার্টনারশিপ ভাঙেন রাসেল। এরপর একই ওভারে তিনি ফেরান রজত পতিদারকে। তিনি করেন ৫২ রান। ছয় রান করে আউট হন ক্যামেরন গ্রিন। সূয়শ প্রভুদেশাই কিছুটা লড়ার চেষ্টা করেন। তিনি ২৪ রান করে আউট হন। মহীপাল লোমরোর ব্যর্থ হন। তিনি করেন চার রান। দীনেশ কার্তিক দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু রাসেল তাঁকে ফেরান। ২৫ রান করে ফেরেন দীনেশ কার্তিক।