
ওঙ্কার ডেস্ক: ডিজিটাল গ্রেফতারি নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে সারা দেশে চর্চা চলছে। সাইবার প্রতারকরা নানা ফাঁদ পেতে মানুষের কাছ থেকে টাকা লুঠ করার জন্য এই পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছে। যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এবার এই চক্রের তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ।
ডিজিটাল গ্রেফতারি চক্রের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। বেঙ্গালুরুর জেপি নগর থেকে মূল অভিযুক্ত চিরাগ কাপুরকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। এপর্যন্ত কলকাতা পুলিশ ৯৩০ ডিজিটাল গ্রেফতারি সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই চক্র গোটা দেশজুড়ে ডিজিটাল গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে বলে খবর লালবাজার সূত্রের ৷
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত চিরাগ দাবি করেছে, সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এই চক্র চালাতে গিয়ে সাতমাস ধরে গ্রেফতার এড়িয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘চিরাগ কাপুর দিল্লির বাসিন্দা।’
প্রসঙ্গত, গত বছর কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে বলা হয়, পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করা হয়। ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে বলা হয় ওই মহিলার নামে দিল্লিতে একটি পার্সেল রয়েছে। যাতে প্রচুর পরিমাণ মাদকদ্রব্য আছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ওই মহিলাকে ডিজিটাল গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। শুনে ভয় পেয়ে যান তিনি।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এরপর চিরাগ কাপুর পরিচালিত চক্রের সদস্যরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাঠিয়ে টাকা ফেলতে বলেন ওই মহিলাকে। ৪৭ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় প্রতারকদের তরফে। ওই টাকা দিলে মহিলাকে তাঁরা মাদক পাচারের মামলা থেকে রেহাই দেবে বলেও জানানো হয়। বেশ কয়েক ধাপে প্রতারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েও দেন ভীত ওই মহিলা। পরে যখন বুঝতে পারেন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে, তখন পুলিশের দ্বারস্থ হন।