
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ঃ লোকসভার বাদল অধিবেশনে পাশ হল বিতর্কিত বন (সংরক্ষণ) সংশোধনী বিল, ২০২৩। এই বিলের ফলে পাঁচ হেক্টর জমিতে জঙ্গল সাফ করার জন্যও কোনো পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে না। দেশের বনভূমি বিপন্ন বলে দাবি করেছে পরিবেশ প্রেমীরা। এমন কি আদানি গোষ্ঠীকে সুবিধা করে দিতে এই বিল এনেছে বিজেপি সরকার বলে দাবি বিরোধী দল গুলির।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতে, ১৯৮০ সালের বন আইন সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। কারণ ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ২.৫ থেকে ৩.০ বিলিয়ন টন CO2 সমতুল্য কার্বন সিঙ্ক তৈরি করার প্রয়োজন। সে জন্য দেশের বনভূমিকে বৃদ্ধি করতে বন (সংরক্ষণ) সংশোধনী বিল, ২০২৩ অত্যন্ত জরুরি ছিল।
যদিও বিজেপি বিরোধী শিবিরের দাবি, ১৯৮০ সালের বন আইনের মূল কথা হল, অরণ্য এলাকায় কোনও অন্য ধরনের কাজ করা যাবে না। তার জন্য বন মন্ত্রকের অনুমতি লাগবে। সেই আইনে সংশোধন করে ‘জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রকল্প ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রকল্প’-এর ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ তুলে নিল মোদি সরকার। কংগ্রেসের দাবি, বন (সংরক্ষণ) সংশোধনী বিল, ২০২৩ এর ফলে অরণ্যের অধিকার আইনও লঙ্ঘন করা হল। জঙ্গলে যাঁদের অধিকার সেই আদিবাসীদের বঞ্চিত করা হল।
বিলটিতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য জঙ্গলের কিছু শ্রেণীর জমিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, রেলওয়ে ট্র্যাক বা সড়ক তৈরির কাজে বনভূমিকে ব্যবহার করা যাবে। পাঁচ হেক্টর জমিতে জঙ্গল সাফ করার জন্যও কোনো পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে না।