
ওঙ্কার ব্যুরো, নয়াদিল্লিঃ শুরুটা ছিল অধীর চৌধুরীকে দিয়ে, অনাস্থার ওপর লোকসভার কংগ্রেস নেতাকে বলতে না দেওয়া তার দলের উদ্দেশ্যেই তীব্র শ্লেষ পাওয়া গেল প্রধানমন্ত্রীর গলায়। অধীরকে সমবেদনা জানিয়ে কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা সুকৌশলে দল ও দলের লোকসভার নেতার মধ্যে বিভাজনের তাস খেললেন তিনি। এখানেই নয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর গলায় উঠে এলো বঙ্গে বাম- কংগ্রেসের বোঝাপড়া প্রসঙ্গ। এখানেও তিনি নিয়ে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম। নরেন্দ্র মোদী বলেন, ১৯৯১ সালে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সিপিএম কী করেছিল তা কারুর অজানা নয়। যারা একসময় তাদের পার্টি অফিস নষ্ট করল,এখন তাদের সঙ্গে জোট।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা এক্ষেত্রে কিছুটা অন্য রকম, তাদের মতে,আসলে বঙ্গ সিপিএম- কংগ্রেসের মধ্যে বিভাজনে কৌশল ব্যবহার করলেন মোদি। কী কেন? আসলে ২০২১-টর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সমর্থনে কিছুটা ভাঁটা তৈরি হয়েছে। আর রাজনীতির পাটিগণিত যেহেতু বলে ফাঁকা জায়গা থাকে না,সেই জায়গায় সিপিএম- কংগ্রেস উঠে আসছে। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দেখা গেছে ভোট বেড়েছে হাত-কাস্তে হাতুরির। বঙ্গ বিজেপির নির্বাচন ভিত্তিক রিপোর্ট সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল নরেন্দ্র মোদি। সেই কারণেই লোকসভা নির্বাচনের আগে সংসদে অনাস্থা মঞ্চে এরাজ্যে বাম- কংগ্রেসের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করলেন তিনি। তার এই প্রয়াস আদও কাজে আসে কীনা তার জন্য যদিও আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।