
ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে বসবাসকারীদের পৃথিবীর উন্নত দেশের বাসিন্দা বলা হয়। এদিকে বাস্তব অন্য কথা বলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা নানা বিপদের সম্মুখীন। লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানলের জেরে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ২৪জন। হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই।
হলিউডের একাধিক প্রসিদ্ধ অভিনেতার বিলাসবহুল বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। সূত্রের খবর, হলিউডের প্রসিদ্ধ অভিনেতা অ্যান্থনি হপকিনস, প্যারিস হিলটন, মেল গিবসন, বিলি ক্রিস্টালের মতো শিল্পীর বাড়ি দাবানলের লেলিহান আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিকে তীব্র বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এতে দাবানল দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়া বইছিল প্রতি ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে। রবিবার রাত থেকে বাতাসের তেজ ফের বেড়েছে। কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, প্রশাসন তা ভেবে দিশাহারা। একদিকে লেলিহান দাবানল মোকাবিলাতে তীব্র জলাভাব, এছাড়া দমকলকর্মীও নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসম বলেছেন, বর্তমানে যে দাবানল ছড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তা সবচেয়ে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড।
সূত্রের খবর, সোমবারও দাবানলে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালিসাডেস ফায়ার জোন এবং ইটন ফায়ার জোন। এই দুই জোনে যথাক্রমে ৮জন এবং ১৬জনের মৃত্যু সংবাদ মিলেছে। দুর্গত এক লক্ষাধিক মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রিত। প্যালিসাডেস ফায়ার জোনের ২৩ হাজার ৬০০ একর এলাকা আগুনে পুড়ছে। আর ইটন ফায়ার জোনের ১৪ হাজার একর এলাকা আগুনে পুড়ছে বলে খবর। আরও ভয়াবহভাবে দাবানলের ফলে বাতাসে আত্মপ্রকাশ করেছে অগ্নিপিণ্ডের টর্নেডো।
সূত্রের খবর, এপর্যন্ত বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দফতর মিলিয়ে ১২ হাজার নির্মাণ ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ১৩৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সর্বশেষ খবর অনুসারে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এসে ঠেকেছে ১৫০ বিলিয়ন ডলারে।
এদিকে দাবানল ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে রাজনীতি। আসন্ন ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দাবানল প্রসঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসনকে দুষেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন দাবানল মোকাবিলায় ব্যর্থ।